আড়াইহাজার

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ

বুধবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

আহত স্বাস্থ্যকর্মীরা হলেন-সাইফুল ইসলাম ও টুটুল মিয়া। তারা দুজনই স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের ওয়ার্ড বয়।

আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাদের ওপর হামলা করে বলে জানান হাসপাতালের কর্মীরা।

হাসপাতালের কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী মো. সুজন তার এক আহত আত্মীয়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে থাকা ওয়ার্ড বয় সাইফুল ইসলাম রোগীর দিকে খেয়াল না করায় সুজনের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।

পরে সুজন ছাত্রলীগ নেতা মাহদী হাসান রিফাতকে বিষয়টি জানালে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লা ও ২০-২৫ জন কর্মীকে নিয়ে সেখানে যান। 

পরে মাহদীর নেতৃত্বে তারা ওয়ার্ড বয় সাইফুল ও টুটুলকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এ সময় হাসপাতালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 

পরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আমিন সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ওয়ার্ডবয় সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি রোগীর স্বজনকে বলেছিলাম, ডাক্তার অন্য রোগী নিয়ে ব্যস্ত, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের ডাকেন। আমি কিছু বলার আগেই ছাত্রলীগ নেতা মাহদী হাসান রিফাতের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।'

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ ইভা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিলাম না। কিন্তু ঘটনা সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে। একটি ছোট ঘটনা বড় হয়ে গেছে। তর্কবিতর্ক থেকে বিষয়টি বড় হয়েছে। আমি আগামীকাল ব্যাপারটি নিয়ে বসব। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

অভিযুক্ত মাহদী হাসান রিফাতের ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে পদ না থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অদূরে অবস্থিত সরকারি সফর আলী কলেজে ছাত্রলীগ থেকে মনোনীত হয়ে সহসভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের এক কর্মী রোগী নিয়ে গেলে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন হাসপাতালের এক স্টাফ। এ বিষয়ে জানতে গেলে আমাদের ওপরও চড়াও হন তিনি। পরে সেখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।'

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'স্টাফরাই উল্টো আমাদের ওপর আক্রমণাত্মক ছিল। সেখানে আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

2h ago