সার আমদানিতে ভারতকে ছাড় দেওয়া বন্ধ করেছে রাশিয়া

সার, ভারত, রাশিয়া, ডিএপি সার, ইউরিয়া সার,
ভারতের আহমেদাবাদের একটি গমের খেতে সার ছিটিয়ে দিচ্ছেন একজন কৃষক। রয়টার্স ফাইল ফটো

বিশ্বে সারের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাশিয়ার কোম্পানিগুলো ভারতে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেটের (ডিএপি) মতো সারের দামে ছাড় দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। গত বছর ভারতে সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ ছিল রাশিয়া।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগস্টে রুশ কোম্পানিগুলো বাজার মূল্যে সার সরবরাহের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে ভারতের আমদানি ব্যয় ও ভর্তুকি বাড়তে পারে। কারণ ইতোমধ্যে শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ চীন বিদেশে সারের বিক্রি কমানোর চেষ্টা করছে।

বিদেশি সরবরাহকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ নয়াদিল্লির একজন জ্যেষ্ঠ শিল্প কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, 'সারে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, 'রুশ কোম্পানিগুলো বাজার মূল্যে সার সরবরাহ করছে।'

এর আগে, ডিএপি, ইউরিয়া এবং এনপিকে সারের বৈশ্বিক বাজার মূল্যে ছাড় দেওয়ায় ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাশিয়া থেকে ভারতের সার আমদানি ২৪৬ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৪.৩৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন হয়েছে।

গত বছর রাশিয়ার সার বিক্রির পলিসি চীন, মিশর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য সার রপ্তানিকারকদের ভারতীয় বাজারে আধিপত্য কমিয়েছে।

ভারতীয় কোম্পানির আরেক কর্মকর্তা বলেন, 'রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি টন ডিএপি সারে ৮০ ডলার পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছিল। তবে, এখন তারা ৫ ডলারও ছাড় দিচ্ছে না।'

রাশিয়ান ডিএপির বর্তমান দাম ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য খরচ ও মালবাহীভিত্তিতে (সিএফআর) টন প্রতি প্রায় ৫৭০ ডলার।

মুম্বাইয়ের একটি সার কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত দু'মাস ধরে বিশ্বব্যাপী সারের দাম বাড়ছে, ফলে আসন্ন শীত মৌসুমের ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মজুত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, জুলাইয়ে বৈশ্বিক সরবরাহকারীরা সিএফআর ভিত্তিতে টন প্রতি প্রায় ৩০০ ডলারে ইউরিয়া সরবরাহ করছিল, কিন্তু এখন তারা টন প্রতি ৪০০ ডলার দাম নিচ্ছে। জুলাইয়ে ডিএপির দাম টন প্রতি প্রায় ৪৪০ ডলার ছিল।

তিনি আরও বলেন, 'ভারতের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের ঠিক আগে বিশ্বব্যাপী সারের দাম বাড়ছে। কৃষকদের সুরক্ষার জন্য ভর্তুকি বাড়ানো ছাড়া সরকারের আর কোনো উপায় নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

2h ago