দেশে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল আছে: সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

tipu_munshi.jpg
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ফাইল ফটো

'দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার সময়োচিত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। আগামীতেও যাতে বাজারে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান আছে।'

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ কথা বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

গত রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, দেশে গত আগস্টে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে। জুলায়ে যা ছিল নয় দশমিক ৭৬ শতাংশ।

সংসদে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাজারে যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেই জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত মনিটরিং করছে।'

তিনি বলেন, 'বাজারে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমদানিতে বাধা দূর করা, শুল্ক হার কমানো, গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, বন্দরে দ্রুত খালাস নিশ্চিত করা, এলসি অনুযায়ী পণ্য আমদানি তদারকিসহ সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিনি ও ভোজ্যতেলের ওপর আরোপকৃত শুল্ক হার আরও যৌক্তিক করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহনে রাস্তাঘাটে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।'

'পোল্ট্রি বাজারে অনিয়ম বা মনোপোলি রয়েছে কি না, সে বিষয়ে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সময়ে সময়ে ভোজ্যতেল ও চিনির স্থানীয় বাজার মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে।'

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানিনির্ভর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব গরম মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের ওপর পরিলক্ষিত হচ্ছে।'

আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, '২০২২-২৩ অর্থবছরে বর্তমানে ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ২৩ হাজার ৭৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।'

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে সর্বোচ্চ সাত হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া, পাকিস্তানের সঙ্গে ঘাটতি ৪৬৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার, ভুটানের সঙ্গে ১৪ দশমিক ২৯ এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলার ঘাটতি রয়েছে।

বিপরীতে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে নেপাল, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের সঙ্গে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago