খরচ বাড়ছে নগদে

নগদে খরচ বাড়ছে

মোবাইলে আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান 'নগদ'-এ লেনদেনের জন্য বাড়তি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি টাকা তুলতে বাড়তি খরচ হচ্ছে।

গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে টাকা তুলতে নতুন হার ও ফি কার্যকর করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো অর্থের জন্য ৫ টাকা ফি চালু করেছে, যা আগে বিনামূল্যে দেওয়া হতো।

অ্যাপে লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকা তুলতে প্রতি হাজারে খরচ ১১ টাকা ৪৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ টাকা এবং ইউএসএসডি কোড সেবা গ্রহীতাদের জন্য ১৪ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করা হয়েছে।

এ ছাড়াও, নগদ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতি হাজারে দেড় শতাংশ ফি ধরা হয়েছে।

নগদ'র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রাহকদের ভালো সেবা দিতে ও ডিজিটাল সেবা প্রসারের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক কৌশলের অংশ হিসেবে এই সমন্বয় করা হয়েছে।

গতকাল পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, 'নগদ সব সময় সর্বনিম্ন খরচে উন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে।'

এতে আরও বলা হয়, শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যমান বাজার দরের তুলনায় সর্বনিম্ন চার্জ দিয়ে আসছে উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, তবুও টাকা তোলা, টাকা পাঠানো বা অন্য যেকোনো সেবার জন্য নগদ এখনো বাজারের সর্বনিম্ন চার্জ বজায় রেখেছে। এ ছাড়াও, বেশিরভাগ পরিষেবা এখনো আগের মতোই বিনামূল্যে আছে।

'বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে চলতি বছরের মধ্যেই নগদ অ্যাকাউন্টধারীদের বিনামূল্যে টাকা তোলার সেবা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে,' দ্য ডেইলি স্টারকে নগদ'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এ কথা বলার ছয় মাসের কম সময়ের মধ্যে এই নতুন চার্জ ঘোষণা করা হলো।

গত মার্চে তিনি বলেছিলেন, 'বিনামূল্যে টাকা তোলার পরিষেবা নগদ'র আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। বরং এটি আমাদের ব্যবসাকে প্রসারিত করতে অনেকাংশে সহায়তা করবে।'

লেনদেনের পরিমাণের দিক থেকে দেশের শীর্ষ এমএফএস অপারেটর বিকাশ গ্রাহকদের পছন্দের পাঁচ নম্বরে (প্রিয়) বিনামূল্যে টাকা পাঠাতে দেয়। এর অ্যাপ থেকে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ১০০ টাকার কম হলে কোনো চার্জ নেওয়া না।

প্রতিষ্ঠানটি একটি 'প্রিয় এজেন্ট'র কাছ থেকে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশআউটের জন্য হাজারে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা চার্জ নেয়। 'প্রিয় এজেন্ট' থেকে মাসে ২৫ হাজার টাকার বেশি তোলা হলে প্রতি হাজারে সাড়ে ১৮ টাকা চার্জ দিতে হয়। এটি সাধারণ এজেন্টের কাছ থেকে ক্যাশ আউটের সমান চার্জ।

বিকাশ'র তথ্য অনুসারে, ৯৫ শতাংশ গ্রাহক মাসে ২৫ হাজার টাকার বেশি তোলেন না।

দেশের তৃতীয় বৃহত্তম অপারেটর রকেট ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা হলে প্রতি হাজারে ৯ টাকা চার্জ দিতে হয়। এটি এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ। তবে এজেন্টদের কাছ থেকে ক্যাশ আউট করার সময় গ্রাহকদের ১৮ টাকা দিতে হয়।

শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশে এমএফএস লেনদেনের প্রায় ৯০ শতাংশই হয় এই তিন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

2h ago