অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস সংক্রান্ত বক্তব্য প্রদানে অনুমতি লাগবে আইন কর্মকর্তাদের
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া সংবাদ সম্মেলনে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংক্রান্ত বিবৃতিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, 'তার আইন কর্মকর্তাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে বিবৃতি দেওয়ার আগে শীর্ষ কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।'
অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন গত ৫ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'অত্র অফিসের সকল বিজ্ঞ আইন কর্মকর্তাকে সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অফিস সংক্রান্ত কোন বিষয়ে কোনো প্রকার বক্তব্য প্রদানের পূর্বে বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয়ের সাথে পরামর্শ ও পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে বক্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে সবিনয় অনুরোধ করা হল।'
গত ৫ সেপ্টেম্বর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় প্রফেসর ইউনূসের বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে খ্যাতিমান ১৬০ বিদেশির সাম্প্রতিক চিঠির প্রতিবাদে একটি বিবৃতি তৈরি করছে এবং তিনি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছেন।'
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।
গত ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান মিডিয়া ব্রিফিং করে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।'
মন্ত্রী বলেন, 'তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে একজন ডেপুটি। যদি তাকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে হয়, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা, অথবা কথা বলার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নেওয়া উচিত। তিনি কোনোটাই করেননি। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।'
একই দিন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ''ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান 'কাউকে খুশি' করতে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'ইউনূসের বিচারের বিষয়ে তার কার্যালয় কোনো বিবৃতি দিচ্ছে না।'
আরেকজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ফজলুল হক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরানের অফিস থেকে তার নেমপ্লেট নামিয়ে দেন।
Comments