নিজেদের ঐতিহাসিক ম্যাচের আগে রোমাঞ্চে বুঁদ নেপাল
এবার এশিয়া কাপ নিয়ে অনিশ্চয়তায় সবচেয়ে চিন্তিত ছিল বোধহয় নেপাল। ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মতের অমিল যদি শেষ পর্যন্ত ভেস্তে দিত এই আসর স্বপ্নও ভেস্তে যেত নেপালের। সেটা হয়নি। হাইব্রিড মডেলে আজ শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। প্রথম দিনেই মুলতানে স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে নেপাল। হিমালয়ের দেশটির এটাই এশিয়া কাপের মতো আসরে প্রথম ম্যাচ। এই উপলক্ষে পুরো নেপালের মানুষই ভীষণ রোমাঞ্চিত।
সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেপালের ক্রিকেটের যাত্রা বেশিদিনের না। দেশজুড়ে ক্রিকেটের তুমুল জনপ্রিয়তা থাকায় দ্রুতই উঠে এসেছে তারা। এশিয়া আইসিসি সহযোগী অন্য দেশ যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, ওমানের সঙ্গে একটা জায়গা বড় তফাৎ আছে নেপালের।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলোর আসলে নিজস্ব কোন ক্রিকেট সংস্কৃতি নেই। উপমহাদেশের প্রবাসীরাই সেখানে নিয়ে গেছেন ক্রিকেট। সেসব দলে খেলেন ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূতরা। নেপাল সেদিক থেকে ব্যতিক্রম ও স্বকীয়।
নেপাল তৈরি করতে পেরেছে নিজস্ব ক্রিকেট সংস্কৃতি। দলের খেলোয়াড় সবাই আদি ও অকৃত্রিম নেপালি। নেপালের উঠে আসা তাই সত্যিকার অর্থেই ক্রিকেটের বিকাশ।
গত ক'বছর তা এতটাই যে নেপাল এবার খেলবে ভারত-পাকিস্তানের মতো ক্রিকেট পরাশক্তির বিপক্ষে। মুলতানে খেলার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নেপাল অধিনায়ক রোহিত পাউডেল তো স্বীকারই করলেন, এমন চিন্তা খুব বেশি আগে তারা করেননি, 'আমরা চিন্তাও করিনি যে আমরা ভারত-পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে খেলব। আমরা এই সুযোগ পেয়েছি। এই সুযোগকে সম্মান করে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।'
তবে কেবল শোভা বাড়াতে নয়, মাঠের ক্রিকেটেও নেপাল দেখাতে চায় জাতি হিসেবে তারা কতটা লড়াকু, পাউডেল তাই বললেন বড় মঞ্চে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে সেরাটা দিতে মরিয়া থাকবেন তারা, 'আমরা এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে প্রথমবার খেলছি। আমরা পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে লড়াই করতে চাই।'
'আমরা এখানে আসা ডিজার্ভ করি। আমরা দুই দশকের বেশি সময় ধরে খেলছি। বিশ্ব মানের দলের বিপক্ষে খেলা অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এটা নেপালের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ। পুরো বিশ্ব আমাদের দেখছে। অবশ্যই সেরাটা দিতে হবে।'
Comments