৫৫ কোটি টাকা জরিমানা শোধে আরও ২ বছরের বেশি সময় পেল পদ্মা ব্যাংক

পদ্মা ব্যাংক

২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ধার্য হওয়া ৫৫ কোটি টাকা জরিমানা পরিশোধে আরও ২ বছরের বেশি সময় পাবে পদ্মা ব্যাংক।

এটি আগে ফারমার্স ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ছিল।

পদ্মা ব্যাংককে আগামী ২০২৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে এই জরিমানা শোধ করতে হবে। আগে এই সময়সীমা ছিল ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪২৯তম সভায় পদ্মা ব্যাংকের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকটির জরিমানা পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বৈঠক শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ২০২৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি ৬ মাসের কিস্তিতে জরিমানা পরিশোধ করতে পারবে পদ্মা ব্যাংক।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, পদ্মা ব্যাংকটি ইতোমধ্যে ২ কিস্তিতে ১২ কোটি টাকা শোধ করেছে। পরে সময়সীমা বাড়ানোর জন্য ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে।

পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তারেক রিয়াজ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আমরা প্রতি ৬ মাস অন্তর জরিমানা পরিশোধ করছি। কিন্তু, আমাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কিস্তির সময় বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছিলাম।'

এর আগে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক পদ্মা ব্যাংকের ৮৯ কোটি টাকা জরিমানা মওকুফ করে। এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা-নির্ধারিত বিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত (এসএলআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় এই জরিমানা করা হয়েছিল।

ওই দিনই কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করে পদ্মা ব্যাংককে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৩৩ ধারা মেনে চলা থেকে অব্যাহতি দেয়। এর অধীনে এসএলআর বজায় রাখা সব ব্যাংকের জন্য আবশ্যক এবং এতে ব্যর্থ হওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে পদ্মা ব্যাংককে এই ছাড় দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক

২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিআরআর ও এসএলআর বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে ১৪৪ কোটি টাকা জরিমানা মওকুফের আবেদন করে পদ্মা ব্যাংক।

Comments

The Daily Star  | English

First day of tariff talks ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

26m ago