বন্যায় নির্মাণাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত

চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নির্মাণাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেললাইনের একটি অংশ। ছবি: সংগৃহীত

চলমান বন্যায় নির্মাণাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেললাইনের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বান্দরবান সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ এবং কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া ও রামু এবং বান্দরবানের বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করছে কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, 'প্রকল্পের কিছু জায়গায় রেললাইন পানির নিচে চলে গেছে। বন্যায় রেললাইনের পাথর, মাটি ও বাঁধ ভেসে গেছে। কিছু অংশে রেললাইন হেলে পড়েছে।'

এবারের ক্ষতি এ প্রকল্পের জন্য গুরুতর ধাক্কা এবং এ ক্ষতির কারণে প্রকল্প শেষ হতে দেরি হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'এ অঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থা ঠিক না হওয়ায় আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতির পুরো রিপোর্ট পাইনি। আমরা কিছু লোককে পাঠিয়েছিলাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে। পানি কমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র পাব।'

মফিজুর রহমান বলেন, 'বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে পানির স্রোত এসে সাতকানিয়ার কেরানিরহাটের কাছে রেললাইনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।'

পানির স্রোতে রেলের জমিতে ভূমিক্ষয় হতে পারে এবং পানি বের হয়ে যাওয়ার সময় আরও ক্ষতি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

'রেললাইনটি বন্যার পানি নেমে যেতে বাধা দেয়' এমন দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'রেললাইনের পূর্ব ও পশ্চিম উভয় পানির পানির লেভেল সমান। উজানের পানি নেমে গেলে, আমাদের দোষ দেওয়া যেত, কিন্তু তা হয়নি।'

তিনি বলেন, 'কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেললাইন যেন পানির জন্য বাধা না হয়, সেজন্য রেললাইনে ২ শতাধিক কালভার্ট ও সেতু আছে।'

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে নির্মাণাধীন রেললাইন চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে বলে গত ১৬ মে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

 

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

5h ago