মণিপুরে সহিংসতা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব, লোকসভায় বিতর্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতের লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। 

আজ মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

সদ্য লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পাওয়া কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী বিরোধী দলের পক্ষে বিতর্ক শুরু করবেন।

বিতর্ক শেষে আইনপ্রণেতারা এই প্রস্তাব নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোট দেবেন।

এই ভোটে মোদির সরকারের হারার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও মিত্রদের হাতে।

তবে বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, এই বিতর্ক মণিপুর রাজ্যে চলমান সহিংসতার ঘটনাগুলো নিয়ে মোদিকে কথা বলতে বাধ্য করবে।

চলমান অধিবেশনটি শুরু হয়েছে ২০ জুলাই থেকে। অধিবেশন শুরুর পর থেকেই বিরোধী দলের নেতারা মণিপুরের সহিংসতা নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন।

৩ মে থেকে মণিপুরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মূলত সে সময় থেকে মণিপুরের সমতলের বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর বিরোধ চলে আসছে। এসব ঘটনায় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, সরকার এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তিনি বিরোধী দলের বিরুদ্ধে 'পালিয়ে যাওয়ার' অভিযোগ আনেন।

ইতোমধ্যে ন্যুনতম বিতর্কের মধ্য দিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হয়েছে।

এর আগেও ২০১৮ সালে মোদির সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলেও তা ব্যর্থ হয়।

নতুন অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত বিতর্কের মাধ্যমে ২৬টি বিরোধীদলের নতুন জোট 'ইন্ডিয়া' তাদের একাত্মতা প্রকাশের সুযোগ পাবে। জুলাইতে গঠিত এই জোটের লক্ষ্য আগামী বছরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করা।

বৃহস্পতিবার মোদি বিতর্কের জবাব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago