অশান্ত মণিপুরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যাচাইয়ের দায়িত্বে অমিত শাহ

গুজরাতের একটি মন্দিরে বক্তব্য রাখছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
গুজরাতের একটি মন্দিরে বক্তব্য রাখছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

অস্থিরতা কবলিত ভারতের মণিপুর রাজ্যে বাড়ছে সহিংসতা। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাছে। এ অবস্থায় মণিপুরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যাচাইয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির প্রভাবশালী নেতা অমিত শাহ।

আজ সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

মণিপুরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যাচাই করছেন অমিত শাহ

পশ্চিম ইম্ফলে বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স
পশ্চিম ইম্ফলে বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স

মণিপুরে ক্ষমতাসীন বিজেপির মন্ত্রী-এমএলএদের বাসভবনে হামলার ঘটনার পর এখন রাজ্যের নিরাপত্তা পর্যালোচনার দায়িত্ব নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ সোমবার মহারাষ্ট্রে চারটি নির্বাচনী সমাবেশ বাতিল করে নিরাপত্তা পর্যালোচনা সভা করছেন অমিত।

সহিংসতার মাঝে শনিবার মণিপুরে কারফিউ জারির পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজধানী ইম্ফলে সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলস মোতায়েন করা হয়। রোববার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইস্ফলে আসেন ভারত সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অভিজিৎ এস পেনধারকর।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বর্তমানে মণিপুরের ছয়টি থানায় সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন জারি আছে। শনিবার এই আইন রদ করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছে রাজ্য সরকার।

ছড়িয়ে পড়ছে সহিংসতা

বিক্ষোভকারীরা এক এমএলএর বাড়ির সামনে ভাঙচুর করছেন। ছবি: রয়টার্স
বিক্ষোভকারীরা এক এমএলএর বাড়ির সামনে ভাঙচুর করছেন। ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি তিনজনের মরদেহ আবিষ্কারের পর শনিবার থেকে মনিপুরে আবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গতকাল রোববার আসামের এক নদীতে আরও দুই মরদেহ ভেসে উঠে।

একইদিনে মণিপুর রাজ্যের মন্ত্রী ও লোকসভার সদস্যদের (এমএলএ) বাসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু জানায়, গত সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে কুকি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের সময় মেইতেই ত্রাণ শিবির থেকে তিন শিশুসহ ছয়জনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায় গত শুক্রবার। গতকাল আসামের নদী থেকে দুই বছর বয়সী শিশু ও ৬১ বছর বয়সী বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছয় নিখোঁজের মধ্যে এখনো ২৫ বছর বয়সী একজন গৃহিণীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার মরদেহ আবিষ্কারের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা মণিপুরের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও এমএলএর বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবনেও আক্রমণের চেষ্টা চালানো হয়। রয়টার্স জানায়, এসব অগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মণিপুরে গত বছরের মে মাস থেকে হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় এবং খ্রিস্টান-সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকি সম্প্রদায়ের মাঝে সহিংসতা চলমান আছে। রয়টার্সের মতে, সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫০ জন নিহত ও আনুমানিক ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Renewable ambitions still mired in uncertainty

Although the Awami League government made ambitious commitments to renewable energy before being ousted by a mass uprising in August last year, meeting those lofty goals remains a distant dream for the country.

11h ago