ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

বেঞ্চ বদলে ২ সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না—সংক্রান্ত রুল আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালত বলেন, বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রুলের শুনানি হবে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পূর্ণ বেঞ্চ দুটি পৃথক আবেদনের শুনানি করে এই আদেশ দেন।

হাইকোর্ট বিভাগের রায় চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষ ও কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর আবেদন দুটি করেছিল।

কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজকের আদেশের পরে হাইকোর্ট বিভাগে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার ক্লায়েন্ট বিচারিক আদালতে ড. ইউনূস এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেবে না।'

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

অধ্যাপক ইউনূসের দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জুলাই বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে রাষ্ট্রকে ব্যাখ্যা করতে বলেন যে, শ্রম আদালতের দেওয়া অভিযোগ গঠনের আদেশটি কেন বাতিল করা হবে না?

প্রসঙ্গত, ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা গত ৬ জুন অধ্যাপক ইউনূসসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযুক্ত বাকিরা হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান এবং পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান।

ওই দিনই বিচারিক আদালত ড. ইউনূসের সশরীরে উপস্থিতি মওকুফ করেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

ওই বছরের ১২ অক্টোবর আদালত ড. ইউনূস ও বাকি ৩ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।

Comments