প্রধানমন্ত্রীর রংপুরের সমাবেশে আমার আ. লীগে যোগদানের গুঞ্জন সঠিক নয়: রাঙ্গা

মসিউর রহমান রাঙ্গা। ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল বুধবার রংপুরে অনুষ্ঠেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার আওয়ামী লীগে যোগদানের গুঞ্জন সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন জাপার এই নেতা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি এ কথা জানান।

মসিউর রহমান জানান, আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কোনো প্রস্তাব তিনিও দেননি কিংবা আওয়ামী লীগ থেকেও তাকে এরকম কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, 'আমি রংপুরে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমি চিফ হুইপ, আমার এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে, আমি যখন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলাম, তখন আমি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অনেক উন্নয়ন করেছি, তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তিনি রংপুরের পুত্রবধূ। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। রংপুরের উন্নয়নের জন্য তাকে স্বাগত জানাই। আমি আমার দলকে বলে এসেছি, তিনি যেন সম্মানের সঙ্গে আসেন এবং স-সম্মানে চলে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আপনারা নেবেন। কিন্তু সেখানে আমার যোগদান করা নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কোনো আলোচনা হয়নি কিংবা আমি মিটিংয়ে থাকব, এ ধরনের কোনো প্রস্তাবও তারা আমাকে দেননি।'

তার মানে আপনি আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন বলে যে গুঞ্জন উঠেছে, সেটা সঠিক নয়? জানতে চাইলে মসিউর রহমান বলেন, 'আমি কোথাও বলি নাই যে আমি তাদের মিটিংয়ে থাকব। এটা তাদের দলীয় মিটিং। প্রধানমন্ত্রী যদি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য কোথাও এমপিদের নিয়ে পারসোনাল মিটিং করতেন, সেখানে হয়তো সব এমপিদের নিয়ে আমি থাকতাম। কিন্তু জনসভায় যাওয়ার কোনো কথা আমার হয় নাই তাদের সঙ্গে।'

'আওয়ামী লীগ একটা বড় দল। সেই দল করাটাও একটা ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু আমরা সেখানে যাইনি, আমরা আলাদা দল করি। সংবিধানের ৭০ ধারার নিয়মসহ নানাবিধ কারণে কালকের জনসভায় আমার আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটুকু বলতে পারি, রংপুরে আগামীকালের দলীয় সমাবেশে আমি যাচ্ছি না। সুতরাং যে গুঞ্জন রংপুরে চলছে, সেটা সত্য নয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

13h ago