মিরপুর-১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ইউএনবি

মিরপুর-১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অস্থিরতার সময় ভাঙচুরের শিকার স্টেশনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি।

বৃহস্পতিবার পরিদর্শনের সময় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতি এবং পুনরায় চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।

এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে গত ১৮ জুলাই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তদন্ত কমিটি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাইয়ের প্রতিবেদন জমা দিলেই পুনরায় মেট্রোরেল চালুর সময়সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা।

এর আগে গত ২২ জুলাই মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে এবং কবে নাগাদ এটি আবার চালু করা যায় তা নির্ধারণে মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ জাকারিয়াকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

দেশের বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল উদ্বোধনের প্রায় দুই মাস পর ২০২৩ সালের ১ মার্চ জনসাধারণের জন্য মেট্রো স্টেশনটি খুলে দেয় সরকার।

প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।

দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ঋণ দেয় আর বাকি অর্থায়ন করে বাংলাদেশ সরকার।

শুরুতে এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অতিরিক্ত ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার অংশ নির্মাণ, প্রতিটি স্টেশনের জন্য নতুন জমি অধিগ্রহণ এবং বিভিন্ন নতুন সুযোগ-সুবিধা সংযোজনের কারণে ব্যয় বেড়ে যায়।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইনের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

7h ago