শেয়ারের টাকা নিয়ে মাস্টার ফিডের বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারের মতবিরোধ

বিএসইসি বসবে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে
মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক লিমিটেড
ছবি: সংগৃহীত

মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক লিমিটেডের এক বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছেন যে, একটি ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান তার শেয়ার বিক্রির অর্থ পরিশোধ করছে না। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিনিয়োগকারীর কাগজপত্র নকল।

উভয় পক্ষই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে এর প্রতিকার চেয়ে চিঠি লিখেছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, বিষয়গুলো তদন্ত করে ২ পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত বছরের ১৫ জুলাই মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক লিমিটেডের সাবেক পরিচালক রফিকুল আলমের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন স্বামীর ২৫ শতাংশ শেয়ার বা মাস্টার ফিডের ১৭ লাখ ৬২ হাজার শেয়ার পান।

ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজে ইয়াসমিনের খোলা বিও অ্যাকাউন্টে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড এশব শেয়ার পাঠায়।

পরে ধীরে ধীরে ১৫ লাখ ৩৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করে গত মে মাসের মাঝামাঝি তিনি ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা তোলেন।

কিন্তু, ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ক্যাপিটাল তাকে বাকি প্রায় ৬০ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করে। এতে গত ১৬ জুলাই ইয়াসমিন তার বাবা ও মাস্টার ফিডের ২ কর্মকর্তাকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে যান।

গত ২৩ জুলাই বিএসইসিতে পাঠানো চিঠিতে ইয়াসমিন বলেন, 'ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের সিইও মুহাম্মদ কাউসার আল মামুন আমার টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেছেন।' চিঠিতে তিনি এর প্রতিকার চেয়েছেন।

ইয়াসমিনের চিঠির ২ দিন আগে গত ২০ জুলাই মুহাম্মদ কাউসার আল মামুন মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করে বিএসইসিতে চিঠি লিখে ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজ ব্যবহার করে শেয়ার বিক্রি ও টাকা তোলার অভিযোগ আনেন।

তিনি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কাছে বিষয়টির যথাযথ সমাধানও চেয়েছেন।

মুহাম্মদ কাউসার আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিও অ্যাকাউন্টের কাগজপত্রে দেওয়া মোবাইল নম্বরে ডায়াল করে ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। বরং সেখানে তার বোনের মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল।'

'এদিকে ইয়াসমিন দাবি করা যিনি আমার অফিসে এসেছিলেন। তিনি বিও অ্যাকাউন্টে দেওয়া নমিনির নাম বলতে পারেননি।'

'তাছাড়া, বিও অ্যাকাউন্টের নথিতে দেওয়া ইমেল অ্যাড্রেস ইয়াসমিনের নয়। সেখানে একজন পুরুষের নাম ছিল। এটি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

তাছাড়া হঠাৎ করে এত বড় অঙ্কের লেনদেন হচ্ছে যেখানে কাগজপত্রে ঝামেলা আছে, তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো তার দায়িত্ব উল্লেখ করে মামুন বলেন, 'তার সব টাকা তারা অ্যাকাউন্টেই আছে। যদি বিএসইসি আমাকে বলে যে তিনি সঠিক ব্যক্তি, আমি তাকে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা দিয়ে দেব।'

বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে।'

কাগজপত্র ও সবার বক্তব্য বিশ্লেষণ করে বিএসইসি শিগগির এর সমাধান দেবে বলে জানান তিনি।

মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও উম্মে হাবিবা ইয়াসমিনকে পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Govt Logo

All 64 DCs protest suggested change to promotion criteria for deputy secy post

The Bangladesh Administrative Service Association (Basa) has also issued a statement protesting the proposal

36m ago