প্রথম প্রজন্মের আইফোন বিক্রি হলো ১ লাখ ৯০ হাজার ডলারে
২০০৭ সালের প্রথম প্রজন্মের একটি আইফোন নিলামে ১ লাখ ৯০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। এই দাম নিলাম আয়োজকদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।
এলসিজি অকশনস নামের একটি নিলামকারী প্রতিষ্ঠান এই আইফোনটিকে নিলামে তোলে। ৪ গিগাবাইট (জিবি) ধারণক্ষমতার ফোনটি ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলারে বিক্রি হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
কিন্তু নিলাম শুরুর পর পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টাতে থাকে। অনলাইনে ২৮টি বিড আসার পর সর্বোচ্চ দাম ওঠে ১ লাখ ৯০ হাজার ৩৭২ মার্কিন ডলার।
এলসিজি অকশনস জানায়, গত ৯ মাসে ২০০৭ সালের প্রথম প্রজন্মের কারখানার মোড়কযুক্ত ৮ জিবি ধারণক্ষমতার দুটি আইফোনও 'রেকর্ড মূল্যে' বিক্রি করেছে তারা।
কিন্তু ৪ জিবি মডেলের এই ফোন একটি 'অসাধারণ স্মারক' ও এটি 'ব্যতিক্রমী অবস্থায়' আছে বলে বর্ণনা করা হয়। যার ফলে এটা সংগ্রাহকদের কাছে আরও দুর্লভ হয়ে ওঠে।
২০০৭ সালের জুনে প্রথম প্রজন্মের আইফোন বাজারে ছাড়ে অ্যাপল। মাত্র ১০০ ডলার বেশি মূল্যে দ্বিগুণ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৮ জিবি মডেল বাজারে আসার পর ৪ জিবি মডেলের বিক্রি অনেকটাই পড়ে যায়। ফলে বাজারে ছাড়ার মাত্র ৪ মাস পরই এই মডেল বিক্রি করা বন্ধ করে দেয় অ্যাপল।
রেকর্ড দামে এখন যে আইফোনটি বিক্রি হয়েছে, সেটি সে সময় বাজারে ছাড়া হয়েছিল।
এলসিজি অকশনস জানায়, সব কিছু মিলিয়ে, এটি একটি বিরল ও মূল্যবান আইফোন।
এই আইফোনের মূল প্যাকেজিং এখনো অক্ষত আছে এবং এর মোড়ক কখনোই খোলা হয়নি।
এ বছরের আরও আগের দিকে এলসিজি অকশনস ২০০৭ সালের প্রথম প্রজন্মের একটি আইফোন ৬৩ হাজার ডলারে বিক্রি করেছে। আরেকটি প্রথম প্রজন্মের আইফোনও তারা ৩৯ হাজার ডলারে বিক্রি করেছে।
আইফোন বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের যোগাযোগ, আর্থিক লেনদেন, পেশা সংশ্লিষ্ট নানা কাজ, ছবি তোলা থেকে শুরু করে এমন কী সকালে ঘুম থেকে ওঠার প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন এনেছে।
এটি বেশ কিছু প্রযুক্তিকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়, যেমন ক্যামকর্ডার, এমপিথ্রি প্লেয়ার ও ফ্লিপ ফোন। আবার বেশ কিছু হারিয়ে যেতে বসা ফিচারকেও নতুন জীবন দিয়েছে অ্যাপলের এই পণ্য।
২০০৭ সালে আইফোন উন্মোচন অনুষ্ঠানে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস বলেছিলেন, 'আমরা আজ একসঙ্গে মিলে কিছু ইতিহাস বদলে দেব।'
সে সময় আইফোনকে তিনি 'বৈপ্লবিক মোবাইল ফোন' হিসেবে অভিহিত করেছেন, যেটিতে আইপড, ফোন এবং ইন্টারনেট একসঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
ছবি: প্রথম প্রজন্মের ৪ জিবি মডেলের আইফোন। ক্রেডিট: এলসিজি অকশনস
সূত্র: সিএনএন
গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল
Comments