বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

পিরোজপুর-ফেনীতে ১৬৮ জনের নামোল্লেখ, অজ্ঞাত ২৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ফেনী ও পিরোজপুরে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ফেনী ও পিরোজপুরে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

পিরোজপুরে বিএনপি পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৮০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে পিরোজপুর সদর থানায় উপপরিদর্শক মাকসুদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। 

সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, এ মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গতকাল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জেলা কমিটির আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন। 

অন্যদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া ইট পাটকেলের আঘাতে পুলিশের ৭ সদস্য এবং বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভির ক্যামেরাম্যান হাসান আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে ফেনীতে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এবং পুলিশের কর্তব্য কাজে ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

দুটি পৃথক মামলায় প্রতিটিতে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় ২ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে—জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী, যুবদলের জাকির হোসেন জসিম, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, পৌর বিএনপির নেতা মেজবাহ উদ্দিনসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সবগুলো অঙ্গ সংগঠনের নেতারা রয়েছেন।

ফেনী শহরের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) হায়াত উল্যা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দুটি করেন।

গতকাল পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিনসহ পুলিশের ১১ সদস্য আহত হয়েছেন।   

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে গ্রেপ্তার অভিযান চলবে।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago