‘পান থেকে চুন খসলেই টুইট করা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতি নাকগলানো’
ঢাকা-১৭ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের টুইট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'পান থেকে চুন খসলেই টুইট করা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতি নাকগলানো।'
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি যে, জাতিসংঘের এখানকার আবাসিক প্রতিনিধির টুইটকে জাতিসংঘের বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের টুইটকে তাদের বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। যেটি যা নয়, সেটিকে তা হিসেবে প্রচার করা-সংবাদ তৈরি করা অপসাংবাদিকতা।'
গণমাধ্যমকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, 'আমি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে বিনীতি অনুরোধ জানাবো, এই ধরনের ম্যাল ইনফরমেশন প্রচার করা থেকে আপনারা বিরত থাকবেন।'
ঢাকা-১৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমি মনে করি, এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা। একটি সুন্দর-সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছিল। নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসে একজন প্রার্থীর ওপর হামলা প্রার্থীর ওপর হামলা পরিচালনা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনটাকে বিতর্কিত করা। এই হামলা করার কোনো প্রয়োজন ছিল না এবং অনুচিত। আমরা গতকালই নিন্দা জানিয়েছি।'
'যারা করেছে, এটি সরকারি দলের ওপর কালিমা লেপন করার জন্য, নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সেটি করেছে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন। ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। সেখানে কাদের ইন্ধন ছিল, যে প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছে তার পক্ষ থেকে উসকানি দেওয়া হয়েছে কি না সেগুলো তদন্তের বেরিয়ে আসবে।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যে কেউ টুইট করতে পারে। এটি জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া না। একজন ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া। আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে এটি জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, সেটি সঠিক না। পশ্চিমবাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেটি নিয়ে তো সেখানকার আবাসিক প্রতিনিধি কিংবা আমাদের বাড়ি থেকে পাশের বাড়ি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ বা টুইট তো আমরা দেখি না!'
'বাংলাদেশে পান থেকে চুন খসলেই এ রকম টুইট করা বা কিছু একটা বলা, এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতি নাকগলানোর সামিল,' বলেন তিনি।
বাংলাদেশের বড় ২ দুলের পাশাপাশি কর্মসূচি চলছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ বাহিনী আছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচি কি আরও উৎসাহিত করছে না বিএনপিকে সংঘর্ষে যেতে; গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বাধ্য হয়ে কর্মসূচি দিচ্ছি। আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি সব সময় থাকবে। একই দিনে অনেক সময় হচ্ছে, একই দিন ছাড়াও আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি সব সময় থাকছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশের একার পক্ষে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সামাল দেওয়া সম্ভবপর নয়। সে জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখা সরকারি দল হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব।'
'যদি সেটা না করি, প্রশ্ন উঠবে সরকারি দল হিসেবে আপনারা কী করলেন?' যোগ করেন তিনি।
Comments