মামলা জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি

ঢাকা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ছবি: স্টার

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা রক্ত দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। সেই ইতিহাস সবাই জানেন। আমরা যদি এভাবে এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি, তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারব না।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার 'ন্যায়কুঞ্জ'র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমরা সবাই জানি এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের ৩টি অর্গানের মধ্যে একটি হচ্ছে জুডিশিয়ারি। এটি একটি শক্তিশালী অর্গান। আমরা যারা এই বিভাগে আছি বিচারক, আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী এবং বিচারিক আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে এ দেশের মানুষের বিচারিক সেবা নিশ্চিত করা।'

তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন আমাদের আদালতগুলোতে অনেক মামলা জমে গেছে। এ মামলার জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে, যে বিচারিক সেবা পেতে এই দেশের মানুষের হক রয়েছে, সেখান থেকে তারা বঞ্চিত হবে। আমরা পরিশ্রম করে রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এই দেশ স্বাধীন করেছি। সেই ইতিহাস সবাই জানেন। আমরা যদি এভাবে এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারব না।' 

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমি আমাদের বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছি আপনারা পরিশ্রম করে এখন যত সংখ্যক কেইস ফাইলিং হচ্ছে তার থেকে নিষ্পত্তি যাতে বেশি হয়। ১২০টি কেইস ফাইলিং হলে যদি ১২৫টি নিষ্পত্তি হয়, তাহলে ৫-৬ বছরের মধ্যে মামলা জট কমে আসবে। এখন যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে বিচারপ্রার্থীদের বের করে আনতে পারব। আদালতের বারান্দায় মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বিচার পাওয়ার জন্য তাদের আর ঘুরতে হবে না। আর এই ন্যায়কুঞ্জ তাদের জন্য, যারা এখানে বিচার পেতে আসেন তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সারাদেশের আদালতগুলোতে এই ধরনের ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করছি।'

এর আগে, প্রধান বিচারপতিকে স্বাগত জানান ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম ও ঢাকার বিচার বিভাগীয় অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এসময় প্রধান বিচারপতির সফরসঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্টার মো. সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার (বিচার) এসকে এম তোফায়েল হাসান এবং প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো. আরিফুল ইসলাম।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

4h ago