বিচারক এক, মামলা ৬৯০০
হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে বিচারক সংকটে ভুগছে।
সংকট সমাধানে সম্প্রতি আপিল বিভাগে তিন জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হলেও হাইকোর্ট বিভাগের জন্য এ বিষয়ে এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কম বিচারক থাকায় হাইকোর্টে মামলা জট জমে যাওয়ায় বিচারপ্রার্থীদের অপূরণীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তিন জন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়ার পর হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা এখন ৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ২০১২ সালের জুন মাসে হাইকোর্টে বিচারপতির সংখ্যা ছিল ১০০ জন।
হাইকোর্টের মোট ৮৪ জন বিচারপতির মধ্যে তিন জনকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম মুলতবি থাকায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিচারিক কার্যক্রম থেকে বাদ রাখা হয়েছে।
এছাড়া আরও তিন বিচারপতি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিচালনা করছেন।
বর্তমানে ৭৮ জন বিচারপতি হাইকোর্টের মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য কাজ করছেন। এই আদালতে প্রায় ৫ লাখ ৪৩ হাজার মামলা বিচারাধীন থাকায় তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গড়ে ৬ হাজার ৯০০ এর বেশি মামলা রয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এই পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার বিচারক সংকট নিরসনে এবং মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়ানোর লক্ষ্যে হাইকোর্ট বিভাগে নতুন বিচারক নিয়োগের পরিকল্পনা করছে।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের নতুন বিচারপতিদের নিয়োগ দেবেন। হাইকোর্টের জন্য কতজন বিচারক নিয়োগ করা হবে সে বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন ৩৭ লাখের বেশি মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য ১ হাজার ৮০০-র কিছু বেশি বিচারক থাকায় নিম্ন আদালতের বিচারকরাও বিপুল সংখ্যক মামলার ভারে জর্জরিত।
যোগাযোগ করা হলে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও ঢাকা ল' রিপোর্টস (ডিএলআর) সম্পাদক খুরশীদ আলম খান বলেন, বিচারক সংকটের কারণে মামলা জট বাড়ছে।
মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে ও বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমাতে আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগে আরও বিচারক নিয়োগ দিতে হবে, বলেন তিনি।
Comments