প্রমাণ হলো, বাংলার মানুষের হৃদয়ে তৃণমূল কংগ্রেস: মমতা

বিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: স্টেটসম্যান
বিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: স্টেটসম্যান

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হতে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিন ধাপের নির্বাচনের বেশিরভাগ আসনই জিতেছে দলটি।

আজ বুধবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ হাজার ৩১৭ আসনের ২ হাজার ৫৫২টি জিতেছে। এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির ২৩২ আসন ও জেলা পরিষদের ২০ আসনের মধ্যে ১২ আসন জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেও তারা তৃণমূল থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দলটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে যথাক্রমে ২১২ ও ৭টি আসন জিতেছে। জেলা পরিষদে একটি আসনও জেতেনি বিজেপি।

এখনো কিছু আসনের ফল চূড়ান্ত হয়নি।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, 'সকল মা-মাটি মানুষকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গ্রামবাংলায় পুনরায় বিকশিত জোড়াফুল। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের অভূতপূর্ব সমর্থন, অকুণ্ঠ ভালোবাসা এবং অপার আশীর্বাদে আমি তথা আমার গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার কৃতজ্ঞ। এই জয় আমার প্রণম্য গণদেবতার জয়। এই নির্বাচন আবারো প্রমাণ করলো, বাংলার মানুষের হৃদয়ে তৃণমূল কংগ্রেসই আসীন।'

গতকাল সকালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। মোট ৭৪ হাজার আসনের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের যথাক্রমে ৬৩ হাজার ২২৯, ৯ হাজার ৭৩০ ও ৯২৮ আসন ছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল অগ্নিপরীক্ষার মতো। শনিবার থেকে সহিংসতার ঘটনা দেখা গেছে।

তফসিল ঘোষণার দিন থেকে শুরু করে সোমবার পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় ৪০ জন নিহত হন। শনিবার ভোটগ্রহণের দিনেই নিহত হন ১৬ জন।

সোমবার কারচুপি, ভোটকেন্দ্র দখল, অনিয়ম ও ভোটারদের হেনস্থার অভিযোগে ৬৯৬ আসনে পুনঃভোট অনুষ্ঠিত হয়।

বিজেপি অভিযোগ করেছে, তৃণমূল বিপক্ষের পর্যবেক্ষকদের ভোটকেন্দ্রে প্রদেশে বাধা দিয়ে  'ভোট চুরির মরিয়া প্রচেষ্টা' চালিয়েছে।

বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'তৃণমূলের দুষ্কৃতিকারীরা ভোট গণনার এজেন্ট, বিজেপির প্রার্থী ও অন্যান্য বিরোধী দলের সদস্যদের ভোট গণনা কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তাদেরকে ভোটকেন্দ্রের দিকেই আগাতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোটগণনার কাজে নিযুক্ত এজেন্টদের দিকে বোমা ছুঁড়ে তাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে, এটি নির্বাচনে কারচুপির মরিয়ে প্রচেষ্টা।'

তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে নিহতদের ৬০ শতাংশই তাদের কর্মী অথবা সমর্থক।

 

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago