ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী বিদেশি কূটনীতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন: কাদের

ওবায়দুল কাদের
আজ সোমবার সকালে সচিবালয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি কূটনীতিক ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, (বাংলাদেশে) ঠিক সেভাবে নির্বাচন হবে। আমাদের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আমি আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি, তাদের সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ, অর্থবহ।'

তাদের কোনো সুপারিশ আছে কি না; আমরা জানতে পেরেছি, প্রায় ১৮০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাতে চান তারা এবং কেন্দ্রগুলো সিসিটিভির আওতায় আনা—এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'পর্যবেক্ষক তো আমরা বলেছি মোস্ট ওয়েলকাম। নির্বাচন পর্যবেক্ষক ইউরোপীয় দেশ থেকে আসবেন, নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের যে দায়িত্ব সেভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব পালনে ৪১ ভিয়েনা কনভেনশন নীতিমালা আছে। সেই নীতিমালার মধ্যে বিদেশি কূটনীতিক দায়িত্ব পালন করবেন।'

'আমাদের এখানো কোনো আপত্তি থাকার প্রশ্ন নেই। বরং ইলেকশন নিয়ে নানা কথা হয়, সে কারণে পর্যবেক্ষক থাকাটা আমরা ওয়েলকাম করি। ইলেকশন অবজার্ভার বিভিন্ন দেশ থেকে আসবেন, অবজার্ভ করবেন, তারা সরেজমিনের দেখতে পারবেন নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে। কাজেই এ নিয়ে কোনো বাদানুবাদের সুযোগ থাকবে না,' বলেন তিনি।

কাদের জানান, ৬ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল আগামী ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করবে। তিনি আরও জানান, এই প্রতিনিধি দল খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'এসব আমাদের আলোচনার কোনো বিষয় না। এসব তারা জানতেও চায়নি। তত্ত্বাবধায়ক, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি, সরকারের পদত্যাগ, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ—এসব নিয়ে কোনো কথাই হয়নি।'

আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

নির্বাচন নিয়ে তাদের কনসার্ন কোথায় জানতে চাইলে কাদের বলেন, 'কোনো কনসার্নের কথা তারা বলেননি, তারা ভালোটা আশা করেছেন। কোনো খারাপ কিছু নিয়ে কোনো কথা বলেননি। একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক বাংলাদেশে সেটা চেয়েছেন। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক, বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হোক, ম্যাচিউরিটি অর্জন করুক—এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, নির্বাচনে বিএনপি বা অন্যান্য দলের আসা বা না-আসা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা তো তারা আলোচনা করবেই। এখন আসার আগেই তো বলা যাচ্ছে না। টিমের আলাপ-আলোচনা শেষেই বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে।'

বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য প্রতিনিধি দলের প্রতি কোনো আহ্বান জানানো হয়েছে কি না গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, 'না, এ রকম কথা আমরা কেন বলব! বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে তাদের যখন এখানে ইলেকশন নিয়ে আগ্রহ আছে, তখন তারা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার জন্য কাউকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করবে কি না এটা তাদের ব্যাপার।'

Comments

The Daily Star  | English

Specific laws needed to combat cyber harassment

There is an absence of a clear legal framework and proper definitions when it comes to cyber violence against women, speakers said at an event yesterday.They urged for specific legislation to combat such crimes..The roundtable, titled “Scanning the Horizon: Addressing Cyber Violence agains

2h ago