পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ইইউ’র নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল

ইউরোপীয় ইউনিয়েনের পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে ২ সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৬ সদস্যের ইলেকশন এক্সপ্লোরেটরি মিশন আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, আজ সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়ামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের ইলেকশন এক্সপ্লোরেটরি মিশনের ২ সপ্তাহের সফরের আজ তৃতীয় দিন।

এ ছাড়া আজ ইইউ প্রতিনিধিদলের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে।

গত শনিবার ঢাকায় আসা মিশনটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে ইতোমধ্যে বৈঠক করেছে।

একটি কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ইইউ মিশনটি ঢাকায় ইইউ দূত, কানাডা, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের কাছে জানতে চেয়েছিল বর্তমানে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন।

সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এর আগে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'তারা (প্রতিনিধি দল) সিদ্ধান্ত নেবেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ মিশন এখানে পাঠানোর উপযোগী, সুপারিশযোগ্য এবং সম্ভব কি না।'

ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেলের কাছে তারা যে মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেবেন, তার ওপর ভিত্তি করে চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন (ইওএম) পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মিশনের মূল্যায়ন অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্যেও মানদণ্ড হিসেবে কাজ করবে—তারাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশে আসবে কি না।

এর আগে ২০১৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠায়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

US lowers Bangladesh tariff to 35% from 37%

Failure to secure a more favourable bilateral agreement by Aug 1 deadline would be a significant blow to the country's export-oriented economy

7h ago