লাইভ আপডেট

ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ডিএলএস পদ্ধতিতে ১৭ রানে হারাল আফগানিস্তান।

বৃষ্টির বাধায় তৃতীয়বারের মতো বন্ধ হওয়ার পর ফের খেলা চালুর আভাস মিলেছিল। বৃষ্টি থামায় চলছিল মাঠ শুকানোর কাজ। পরিবর্তিত লক্ষ্যও দেওয়া হয়েছিল আফগানিস্তানকে। কিন্তু কিছুক্ষণের ব্যবধানে আবারও বৃষ্টি নামে। এরপর আর খেলা শুরু হওয়ার পরিস্থিতি না থাকায় আফগানদের জয়ী ঘোষণা করা হয়।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে নেমে ধুঁকতে ধুঁকতে ৪৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করতে পারে বাংলাদেশ। ডিএলএস পদ্ধতিতে আফগানদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩ ওভারে ১৬৪। তবে বৃষ্টির বাগড়ার আগ পর্যন্ত ২১.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮৩ রান করতে পারে তারা। বিবর্ণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও টাইগাররা পারেনি দ্রুত উইকেট তুলে নিতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান: ২১.৪ ওভারে ৮৩/২ (গুরবাজ ২২, ইব্রাহিম ৪১*, রহমত ৮, হাশমতউল্লাহ ৯*; হাসান ০/৩৬, মোস্তাফিজ ০/১০, তাসকিন ১/২৬, সাকিব ১/৯)।

 

২৯ ওভারে ১১১ রানের লক্ষ্য পেল আফগানিস্তান

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আর বৃষ্টি না হলে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আবার শুরু হবে খেলা। এবার অনেক ওভার কাটা পড়েছে। ডিএলএস পদ্ধতিতে আফগানিস্তান ২৯ ওভারে পেয়েছে ১১১ রানের পরিবর্তিত লক্ষ্য।

জয়ের জন্য ৪৪ বলে ২৮ রান করতে হবে সফরকারীদের। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট। এই সমীকরণ অনুসারে তাদের শেষ হাসি হাসা সময়ের ব্যাপার মাত্র। কেবল অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারলেই নিজেদের দিকে ফল আনতে পারবে বাংলাদেশ।

বৃষ্টিতে তৃতীয়বারের মতো খেলা বন্ধ

তৃতীয়বারের মতো বৃষ্টির হানায় খেলা বন্ধ হয়ে গেল। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে মাঠ ছেড়ে গেলেন সবাই। সেসময় ২১.৪ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৪ রান। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৫৮ বলে ৪১ ও হাশমতউল্লাহ শহিদি ১৩ বলে ৯ রানে খেলছেন।

ডিএলএস পদ্ধতিতে ২ উইকেট হারিয়ে এই মুহূর্তে 'পার স্কোর' ৬৬ রান। অর্থাৎ ১৭ রানে এগিয়ে আছে আফগানরা। তাই বৃষ্টির কারণে খেলা আর না হলে জিতবে তারা।

বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন

রহমত শাহকে থিতু হতে দিলেন না তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি পেসারের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হলেন আফগান ব্যাটার। স্লিপে তা মুঠোয় জমালেন লিটন দাস। রহমতের সংগ্রহ ১৪ বলে ৮ রান।

অল্প সময়ের ব্যবধানে ফের উইকেট পাওয়ার উল্লাস করল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের রান ১৯.২ ওভারে ২ উইকেটে ৭০। ক্রিজে ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গী অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি।

গুরবাজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাকিব

যত সময় গড়াচ্ছিল, ততই উইকেট না পাওয়ার হতাশা বাড়ছিল বাংলাদেশের। সেই আক্ষেপ দূর করলেন সাকিব আল হাসান। আফগানিস্তানের দারুণ উদ্বোধনী জুটি ভেঙে তিনি দলকে পাইয়ে দিলেন কাঙ্ক্ষিত ব্রেক-থ্রু।

ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ ঘটাতে পারেননি রহমানউল্লাহ গুরবাজ। বল চলে যায় শর্ট মিডউইকেটে। সেখানে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গুরবাজের সংগ্রহ ৪৫ বলে ২২ রান।

১৬তম ওভারে ৫৪ রানে প্রথম উইকেট হারাল আফগানরা। ক্রিজে আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গী মাত্রই নামা রহমত শাহ।

গুরবাজ-ইব্রাহিমের জুটিতে পঞ্চাশ

সাকিব আল হাসানের করা ১৪তম ওভারে আফগানিস্তানের দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। অর্থাৎ রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের উদ্বোধনী জুটি এই মাইলফলক স্পর্শ করে। চাহিদা বেশি না থাকায় দ্রুত রান তোলার চাপ নেই তাদের।

বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়ের শুরুটাও ভালো হয়েছে আফগানিস্তানের। ফলে চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের ওপর।

আফগানিস্তানের দুই ওপেনারের সাবধানী শুরু

সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সাবধানী শুরু করেছেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার। বাড়তি কোনো তাড়াহুড়ো নেই তাদের। হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসানের বিপরীতে কয়েকবার অস্বস্তিতে অবশ্য পড়েছেন তারা। কিন্তু তাদেরকে আলাদা করা সম্ভব হয়নি।

আফগানদের ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে কোনো উল্লাস করতে পারেনি বাংলাদেশ। সফরকারীদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩২ রান। ক্রিজে আছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩০ বলে ১৩ ও ইব্রাহিম জাদরান ৩০ বলে ১৬ রানে।

বাংলাদেশ করতে পারল ১৬৯ রান, আফগানিস্তানের লক্ষ্য ১৬৪

বৃষ্টির কারণে ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ধুঁকে ধুঁকে পুরো ওভার খেলতে পারল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দল। কিছুটা মন্থর পিচে তারা ৯ উইকেট হারিয়ে তুলল ১৬৯ রান। তবে ডিএলএস পদ্ধতিতে ১৬৪ রানের লক্ষ্য পেল আফগানিস্তান।

কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন সফরকারী বোলাররা। বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকি ২৪ রানে পান ৩ উইকেট। পিঠে ব্যথার কারণে ৯ ওভারের কোটার পুরোটা শেষ করতে পারেননি তিনি। নিজের ২ বল বাকি থাকতে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। লেগ স্পিনার রশিদ খান ও অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান যথাক্রমে ২১ ও ২৩ রানে ২ উইকেট করে পান।

স্বাগতিকদের পক্ষে একমাত্র লড়াই করতে পারেন তাওহিদ হৃদয়। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৬৯ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দুর্দান্ত ছন্দে শুরু করা ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। তিনি ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেন আর মাত্র চারজন।

এক পর্যায়ে ১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৬৫ রান। কিন্তু বাজে শটে লিটন দাসের বিদায়ের পর নড়ে যায় শুরুর ভিত। বিবর্ণ ব্যাটিং প্রদর্শনীর দিনে বাংলাদেশের কোনো জুটি পঞ্চাশে পৌঁছায়নি। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে হৃদয়ের ৩৭ রানের জুটিই ইনিংসের সর্বোচ্চ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৩ ওভারে ১৬৯/৯ (তামিম ১৩, লিটন ২৬, শান্ত ১২, সাকিব ১৫, হদয় ৫১, মুশফিক ১, আফিফ ৪, মিরাজ ৫, তাসকিন ৭, হাসান ৮*, মোস্তাফিজ ৩*; ফারুকি ৩/২৪, সালিম ০/৩৬, ওমরজাই ১/৩৯, মুজিব ৩/২৩, নবি ৬-১/২৫, রশিদ ২/২১)।

থামলেন হৃদয়

ফিফটির পরপরই থামলেন তাওহিদ হৃদয়। অবসান হলো তার একার লড়াইয়ের। ফজলহক ফারুকির বল কাট করতে গিয়ে পরাস্ত হলেন তিনি। উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ নিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।

হৃদয়ের বিদায়ে শেষদিকে আক্রমণাত্মক খেলে রান বাড়িয়ে নেওয়া হলো না বাংলাদেশের। তিনি হলেন বাঁহাতি ফারুকির তৃতীয় শিকার।

৪০.৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৬৪ রান। ক্রিজে আছেন হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে হৃদয়ের আরেকটি ফিফটি

সাত ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন তাওহিদ হৃদয়। ফজলহক ফারুকির করা ৪১তম ওভারের তৃতীয় বলে ডাবল নিয়ে তিনি পৌঁছে যান ব্যক্তিগত মাইলফলকে। ফিফটি স্পর্শ করতে তার লাগে ৬৭ বল।

১৩তম ওভারে ক্রিজে গিয়েছিলেন হৃদয়। অন্যপ্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও তিনি দেখাচ্ছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং।

রিভিউ নষ্ট করে ফিরলেন তাসকিন

মুজিব উর রহমানের শিকার হলেন তাসকিন আহমেদ। এলবিডব্লিউ হওয়ার পর রিভিউ নষ্ট করে ফিরলেন তিনি। আর কোনো রিভিউ নেই বাংলাদেশের।

ক্যারম বল বুঝতে না পেরে ১৯ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফিরলেন তাসকিন। ৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৫৩ রান। ক্রিজে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গী মাত্রই নামা হাসান মাহমুদ।

ফের চালু হলো খেলা

বৃষ্টির কারণে দুই দফা বন্ধ হলো বাংলাদেশের ইনিংস। দ্বিতীয়বারে প্রায় ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট বন্ধ থাকার ফের চালু হলো খেলা। এবার অবশ্য ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমানো হয়েছে। খেলা নেমে এসেছে ৪৩ ওভারে।

তিন বোলার সর্বোচ্চ ৯ ওভার করে বল করতে পারবেন। দুই বোলার হাত ঘোরাতে পারবেন ৮ ওভার করে। দুই ইনিংসের মাঝে বিরতি থাকবে ২০ মিনিট।

আবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ

বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশের ইনিংসে দ্বিতীয় দফায় নেমেছে বৃষ্টি। বৃষ্টির পাশাপাশি চট্টগ্রামে আছে রোদও। প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালে স্বাভাবিক কারণেই বন্ধ আছে খেলা। এই দফায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশের স্কোর ৩৪.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৪।

তাওহিদ হৃদয় ৫৭ বলে ৪২ রানে খেলছেন। তাসকিন আহমেদ ক্রিজে আছেন ৮ বলে ৩ রানে।

মিরাজও টিকতে পারলেন না

দলের মহা বিপর্যয়ে ত্রাতা হতে পারলেন না মেহেদী হাসান মিরাজও। পারলেন না অন্যপ্রান্তে টিকে থাকা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গ দিতে। রাউন্ড দ্য উইকেটে করা ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউউ হলেন তিনি। ২৩ বল খেলে তার রান মাত্র ৫।

মিরাজ যতটা আশা করেছিলেন, বল ততটা লাফিয়ে ওঠেনি। তারপরও পুল করতে চেয়েছিলেন। সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বিদায়ঘণ্টা বাজল তার। আম্পায়ার আউটের নির্দেশ দিয়ে আঙুল তোলার পর রিভিউ নেন মিরাজ। কিন্তু পাল্টায়নি মাঠের সিদ্ধান্ত। উল্টো রিভিউ হারাতে হয় বাংলাদেশকে।

৩৩ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৭ উইকেটে ১৩৯। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী তাসকিন আহমেদ।

রশিদের দ্বিতীয় শিকার আফিফ

মাত্র ১৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের পর রশিদ খানের দ্বিতীয় শিকার হলেন আফিফ হোসেন। আম্পায়ার এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে উইকেট পাওয়ার আনন্দে মাতে আফগানিস্তান। ৮ বলে ৪ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে।

গত মার্চের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের একাদশে ফিরেছেন আফিফ। তবে দলের প্রয়োজনের সময়ে জ্বলে উঠতে পারলেন না বাঁহাতি ব্যাটার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পে পড়া বল গিয়ে আঘাত করত স্টাম্পে। ২৭.২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৮ রান। একপ্রান্ত আগলে ৪৫ বলে ৩৫ রানে থাকা তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গী হয়েছেন নতুন ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ।

এই জুটির দিকে এখন তাকিয়ে স্বাগতিকরা। মূলত, তাদের ওপর নির্ভর করছে আফগানদের কত রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়া যাবে। এরপর মাঠে আসার অপেক্ষায় আছেন বোলাররা।

বাজে শটে মুশফিকও ফিরলেন দ্রুত

ভীষণ বিপর্যয়ে পড়ল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পাঁচ বল পর মুশফিকুর রহিমও আউট হলেন। বাজে শটে আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খানের শিকার হলেন তিনি। ৩ বল খেলে ১ রান করে বোল্ড হলেন মুশফিক।

পুল করার মতো ডেলিভারি ছিল না। তারপরও সেটা চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক। হাঁটুর নিচে থাকা গুগলি তার ব্যাট পেরিয়ে পায়ে লেগে ভেঙে দেয় স্টাম্প। ২৪তম ওভারে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। মুশফিকের বিদায়ের সময় তাদের তাদের সংগ্রহ ১১২ রান। ক্রিজে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গী হলেন আফিফ হোসেন।

সাকিবের বিদায়ে চাপ বাড়ল বাংলাদেশের

শর্ট কভারে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণ এক নিচু ক্যাচ নিলেন মোহাম্মদ নবি। তাতে বিদায় নিলেন সাকিব আল হাসান। অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটারের বিদায়ে চাপ আরও বাড়ল বাংলাদেশের ওপর। নিজের প্রথম ওভারে ১৩ রান দেওয়া পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই আক্রমণে ফিরেই পেলেন সাফল্য। ফলে স্বাগতিকদের আরেকটি সম্ভাবনাময় জুটি পড়ল মুখ থুবড়ে।

ক্রিজে সাবলীল ছিলেন না সাকিব। ৩৫ বলে তার রান ১৪। কোনো চার বা ছয় আসেনি তার ব্যাট থেকে। ২৩তম ওভারে তার আউটের সময় বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১০৯ রান। ক্রিজে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গী হলেন আরেক অভিজ্ঞ তারকা মুশফিকুর রহিম।

৫০ মিনিট পর ফের খেলা শুরু

প্রায় ৫০ মিনিট বন্ধ থাকার পর ফের খেলা চালু হলো। তবে কোনো ওভার কাটা পড়েনি। চট্টগ্রামের আকাশে কালো মেঘের আনাগোনাও কমেছে। এই পর্যায়ে বাংলাদেশ চাইবে বড় একটি জুটি গড়তে। আফগানিস্তান চাইবে উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে আরও চাপে ফেলতে।

বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ

বাংলাদেশের ইনিংসের ১৫.১ ওভার হওয়ার পর খেলা বন্ধ হয়ে গেল। কারণ হলো বৃষ্টির বাগড়া। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলছে ঝড়ো বাতাসও। ইতোমধ্যে আম্পায়ার ও দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে গেছেন। কভার দিয়ে পিচ ও এর আশেপাশের কিছু অংশ ঢেকে ফেলেছেন মাঠকর্মীরা।

বর্তমানে ম্যাচের চালকের আসনে আছে আফগানিস্তান। টস জিতে তাদের আগে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ প্রমাণিত হয়েছে। আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ রয়েছে বিপাকে। তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৪ রান। আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিন টপ অর্ডার ব্যাটার অধিনায়ক তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

ক্রিজে আছেন সাকিব আল হাসান ১২ বলে ৪ রানে। তার সঙ্গে তাওহিদ হৃদয় খেলছেন ৯ বলে ৮ রানে।

প্রথম বলেই শান্তর উইকেট নিলেন নবি

বোলিংয়ে এসেই আফগানিস্তানকে উল্লাসে মাতান মোহাম্মদ নবি। সুইপ করার চেষ্টায় নাজমুল হোসেন শান্ত ফাইন লেগে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ সালিমের হাতে। ১৬ বলে ২ চারে তার সংগ্রহ ১৬ রান। আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদির সিদ্ধান্ত কাজে লাগল দারুণভাবে। নবির হাতে বল তুলে দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও বিপাকে ফেললেন তিনি। ডেলিভারিটি সুইপ করার উপযুক্ত ছিল না। তাছাড়া, শান্তও শট নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলেন।

ত্রয়োদশ ওভারে শান্তর বিদায়ে চাপ জেঁকে বসল বাংলাদেশের ওপর। স্কোরবোর্ডে ৭২ রান উঠতে ৩ উইকেটের পতন হলো তাদের। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী নতুন ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।

বাজে শটে লিটনের বিদায়

থিতু হয়ে গিয়েছিলেন লিটন দাস। একাদশ ওভারের পঞ্চম বলে ফ্রি হিটে হাঁকান ম্যাচের প্রথম ছক্কা। কিন্তু পরের ওভারে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

আফগানিস্তানের অফ স্পিনার মুজিব উর রহমানে আলগা বলটি ছিল লেগ স্টাম্পে। সামনের পা সরিয়ে জায়গা করে নেন লিটন। এরপর বল সীমানাছাড়া করার চেষ্টায় তিনি ধরা পড়েন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে। ক্যাচটি অনায়াসে লুফে নেন রহমত শাহ। আউট হওয়ার পর যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না লিটন। প্রায় মিনিটখানেক ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।

৩৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রান করেন লিটন। দ্বাদশ ওভারে দলীয় ৬৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে সাকিব আল হাসান গেছেন নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী হতে।

আবারও ফারুকির শিকার তামিম

শতভাগ ফিট নন তবু প্রথম ওয়ানডেটা খেলে নিজের অবস্থা বুঝতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাউন্ডারি পেতে দেরি হয়নি তার। তবে থিতু হতে পারেননি। আবারও বাঁহাতি পেসার ফজল হক ফারুকির শিকার হয়েছেন তিনি। 

গত বছর আফগানদের বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচেই ফারুকির বলে আউট হয়েছিলেন তিনি। এবার চতুর্থ দেখায় ফের ফারুকিই নিলেন তার উইকেট। এবার অবশ্য ভেতরে ঢোকা বলে নয়। লেন্থ থেকে কিছুটা বাড়তি লাফানো বল কাট করতে গিয়ে এজড হয়ে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২১ বলে ১৩ রান করেন তিনি। সপ্তম ওভারে তামিমের আউটে ৩০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে। 

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস ভাগ্য পক্ষে আসেনি বাংলাদেশের। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ফিটনেস ঘাটতি নিয়েও খেলার কথা জানিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তার খেলা নিয়ে কিছুটা সমালোচনা তৈরি হয়। তবে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।

বাংলাদেশ একাদশে রেখেছে তিন পেসার ও দুই স্পিনার। পাঁচ বোলারের সঙ্গে ব্যাটিংও বেশ লম্বা। সাত নম্বরে এক সিরিজ পর দলে ফিরে একাদশে ফিরেছেন আফিফ হোসেন। 

সর্বশেষ খেলা ওয়ানডে থেকে একটা বদল এনেছে আফগানরা। গুলাবদিন নাইবের বদলে অভিষেক হয়েছে পেসার মোহাম্মদ সালিমের। তিনি ছাড়াও পেস আক্রমণে আছেন ফজল হক ফারুকি আর আজমতুল্লাহ ওমরজাই। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবিকে নিয়ে আফগানদের স্পিন আক্রমণও বেশ শক্তিশালী। 

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ,  মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ। 

আফগানিস্তান একাদশ: রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শহিদি, মোহাম্মদ নবি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজল হক ফারুকি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ সালিম। 

জয়ের বাইরেও আরও অনেক কিছু চায় বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরিষ্কার ফেভারিট হয়ে আরেকটি সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের বছর হওয়ায় সিরিজের মূল ফোকাস বিশ্বকাপ ঘিরেই। সিরিজ জয়ের বাইরেও তাই আরও অনেক লক্ষ্য দলের।

বিকল্প খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখা, স্পোর্টিং উইকেটে বড় রানের প্রত্যাশা মেটানোর পাশাপাশি অধিনায়ক তামিম ইকবালের ছন্দ ফিরে পাওয়ার ব্যাপারও আছে। যদিও সিরিজের আগের দিন নিজের ফিটনেস নিয়ে নিজেই সংশয় প্রকাশ করেন তামিম। যদিও শতভাগ ফিট না হলেও খেলার কথা জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

10h ago