পারভেজের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, শেষ ৩ বলে শেখ মেহেদীর হ্যাটট্রিক

ছবি: সংগৃহীত

পারভেজ হোসেন ইমনের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ও জাকির হাসানের ফিফটিতে তিনশ ছাড়ানো পুঁজি পেল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। চ্যালেঞ্জিং এই লক্ষ্য স্পর্শ প্রায় করেই ফেলেছিল সিটি ক্লাব। তবে চরম নাটকীয়তায় সেটা হতে দিলেন না শেখ মেহেদী হাসান। তাণ্ডব চালানো সাজ্জাদুল হক রিপনের উইকেটসহ ম্যাচের শেষ তিন বলে তিন শিকার ধরে পূরণ করলেন হ্যাটট্রিক।

রোববার সাভারের বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ৩ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের আসরে এটি তাদের টানা তৃতীয় জয়। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের তোলা ৮ উইকেটে ৩০৫ রানের জবাবে সিটি ক্লাব থামে ৭ উইকেটে ৩০২ রানে।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার ছিল সিটি ক্লাবের। তখন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বল তুলে দেন শেখ মেহেদীর হাতে। প্রথম বলে লেগ বাই থেকে একটি রান আসার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে যথাক্রমে চার ও ছক্কা মারেন রিপন। ফলে চাহিদা দাঁড়ায় স্রেফ ৩ বলে ৪ রানের। কিন্তু সেই সহজ সমীকরণ প্রতিপক্ষকে মেলাতে দেননি শেখ মেহেদী। হ্যাটট্রিক আদায়ের পাশাপাশি দেননি আর একটি রানও।

আরেকটি বাউন্ডারির চেষ্টায় ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রিপন। সিটি ক্লাবের অধিনায়কের ব্যাট থেকে ৩৭ বলে আসে ঝড়ো ৭৬ রান। ৫ চারের সঙ্গে ৭ ছক্কা হাঁকান তিনি। পঞ্চম বলে ইরফান হোসেনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন শেখ মেহেদী। এরপর মইনুল ইসলামও একই কায়দায় আউট হলে স্মরণীয় জয়ের উল্লাসে মাতে প্রাইম ব্যাংক। ১০ ওভারে সব মিলিয়ে ৮৬ রান খরচায় শেখ মেহেদী নেন ৪ উইকেট।

এর আগে ওপেনিংয়ে নেমে পারভেজ খেলেন ১০০ রানের ইনিংস। ১১৪ বল মোকাবিলায় ৫টি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি। আসরে এটি তার টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ১২৯ বলে ১৫১ রান করেছিলেন তিনি। তিনে নামা জাকির ৮ চার ও ১ ছয়ে করেন ৭৭ বলে ৭৯ রান। তামিমের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৭ রানের জুটি গড়েন তারা। এছাড়া, মোহাম্মদ মিঠুন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে ৪২ রান করেন।

এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন অভিজ্ঞ তামিম। ১১ বলে ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ব্রাদার্সের বিপক্ষে ১৬ রানে আউট হওয়ার আগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে করেছিলেন ১৭ রান।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

7h ago