চলতি অর্থবছরে সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ, বিদেশ ভ্রমণ সীমিত
বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমাতে ও কৃচ্ছ্র সাধনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি দপ্তরে সব ধরনের যানবাহন ক্রয় ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে, বিদেশি অর্থায়ন হলে সীমিত আকারে ভ্রমণ করা যাবে।
আজ রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে কতিপয় খাতে বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ে সরকার নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি অর্থবছরে পরিচালন বাজেটের আওতায় বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। পেট্রোল, ওয়েল, লুব্রিকেন্ট, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। তবে, আবাসিক ভবন, অনাবাসিক ভবন এবং অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। মোটরযান, জলযান ও আকাশযান খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে, ১০ বছরের অধিক পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। ভূমি অধিগ্রহণ' খাতে বরাদ্দ অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে।
উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। পেট্রোল, ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালনপূর্বক অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ, সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। এগুলো হলো- পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের দেওয়া স্কলারশিপ/ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন। বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বিদেশি প্রশিক্ষণ। সরবরাহকারী, ঠিকাদার, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাদের দেওয়া সেবা, পণ্যের গুনগত মান নিরীক্ষা বা পরিদর্শন।
আরও বলা হয়েছে, অনুচ্ছেদে বর্ণিত খাতগুলোতে বরাদ্দ অর্থ অন্য কোনো খাতে এবং অন্য কোনো খাত থেকে এসব খাতে পুনঃউপযোজন করা যাবে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারি করা এ পরিপত্র অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।
Comments