৬ মাসের ব্যবধানে পায়রা বন্দরের সীমানা দেয়ালে আবারো ধস

নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই পায়রা বন্দরের ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের দুটি সীমানা দেয়াল আবারো ধসে পড়েছে | ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই পায়রা বন্দরের ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের দুটি সীমানা দেয়াল আবারো ধসে পড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পশ্চিম দিকের সীমানা দেয়াল হঠাৎ করে ধসে পড়ে যায়। শুক্রবার দুপুরের দিকে পশ্চিম দিকের আরও একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আরেকটি দেয়াল পশ্চিম দিকে সামান্য হেলে যায়।

এর আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি উত্তর দিকের একটি সীমানা দেয়াল ধসে পড়েছিল।

পায়রা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের প্রশাসনিক ভবন এলাকার সামনে ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ সেখানে কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন, মসজিদসহ বেশ কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়। ওই জমির চারপাশেই সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছে।

নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই পায়রা বন্দরের ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের দুটি সীমানা দেয়াল আবারো ধসে পড়েছে | ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

সীমানা দেয়াল, ডরমিটরি ভবন এলাকার বালু ভরাটসহ উন্নয়ন কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি টাকা। এবিএম ওয়াটার কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এদিকে, ৬ মাসের ব্যবধানে আবারো সীমানা দেয়াল হেলে পড়ায় বন্দরের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মূলত যেখান থেকে সীমানা দেয়ালটি নির্মাণ করা হচ্ছে, উত্তর ও পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছ'আনী খাল। এ খালের তীরঘেঁষে সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। খালের তীরভূমি থেকে ১০-১৫ ফুট জায়গা রেখে যদি সীমানা দেয়ালটি নির্মাণ করা হতো, তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো না।

তারা আরও বলেন, সীমানা দেয়ালের ভেতরের অংশ বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। বাইরের অংশ নিচুই ছিল। ভেতরের দিকের বালুর চাপে দেয়ালটি পশ্চিম দিকে ধসে পড়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে এবিএম ওয়াটার কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহিদুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ওমর ফারুক বলেন, 'পুরোপুরি ধসে পড়া দেয়াল ভেঙে ফেলে আমরা ঝুঁকিমুক্ত করব। আর সামান্য হেলে পড়া দেয়াল আরও দু'একদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

'এক সপ্তাহ ধরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির পানি নির্মাণাধীন দেয়ালের ভেতরের অংশে আটকে পড়েছে এবং পানি ও বালুর প্রবল চাপে দেয়াল ধস বা হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

India bans land import of jute, yarn from Bangladesh

India yesterday banned the imports of certain jute products and woven fabrics from Bangladesh through land ports.

19m ago