একটি চক্রই ৫ কোটি টাকার বেশি জাল নোট ছড়িয়েছে: ডিবি

রাজধানীর লালবাগে জাল টাকা তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে ৮২ লাখ টাকার জাল নোট, জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম ও চক্রের মূল হোতাসহ নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
ঢাকার লালবাগে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৮২ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর লালবাগে জাল টাকা তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে ৮২ লাখ টাকার জাল নোট, জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম ও চক্রের মূল হোতাসহ নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।

অভিযান নিয়ে আজ সোমবার মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, জাল টাকা তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত এই চক্রটি গত দুই মাসে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঁচ কোটি টাকার বেশি জাল নোট বাজারে ছেড়েছে। ঈদের আগে তারা আরও তিন কোটি টাকার জাল নোট ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাবুল শেখ, লিমা আক্তার রিনা, ইব্রাহিম শেখ, মো. আফাজুল ওরফে রাসেল, মো. হাবিবুল্লাহ, মো. দুল্লাল হোসেন ওরফে ইকবাল, সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি, মিলি ও আল্পনা আক্তার রিপি।

হারুন বলেন, গতকাল লালবাগের কাশ্মীরি লেন এলাকা থেকে ডিবির একটি দল প্রথমে ইব্রাহিম, রাসেল, হাবিবুল্লাহ ও দুলালকে ২৫ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির টিম পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় ও পঞ্চম তলায় বাসা-কাম-কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে ৮২ লাক টাকার জাল নোট জব্দ করে।

জাল নোট তৈরির প্রক্রিয়া দেখাচ্ছেন এক কারিগর। ছবি: সংগৃহীত

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পাঁচ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছাড়ার তথ্য দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

হারুন বলেন, বাবুল জাল নোটের ব্যবসা করে বেশ কয়েকজন নারীকে বিয়ে করেছে। তিনি তার স্ত্রীদেরকেও জাল নোট তৈরির কাজে লাগিয়েছেন। জাল নোট বিক্রি করে বাড়ি ও জমি কিনেছেন তিনি।

বাবুল জাল টাকা নিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে পাঁচবার, তার স্ত্রী মিনারা খাতুন তিনবার এবং সাইফুল ইসলাম দুইবার কারাগারে গেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জামিন পেতে তাদের লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। উচ্চ সুদে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে আবারো তারা একই অপরাধে জড়ায়।

 

Comments

The Daily Star  | English

S Alam’s tax file shows no foreign income

S Alam Group owner Mohammed Saiful Alam’s 2022-2023 tax file is a puzzle. In that tax year, he declared personal assets worth Tk 2,532 crore, but did not show any personal bank loans from Bangladesh or his foreign income.

32m ago