পূজারা কেন ‘বলির পাঁঠা’, প্রশ্ন গাভাস্কারের

Cheteshwar Pujara & Sunil Gavaskar

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ব্যর্থ হন ভারতের তারকা ব্যাটাররা। দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠেও তাই কাপ জেতা হয়নি ভারতের। এর জেরে টেস্ট দলে জায়গা হারান চেতশ্বর পূজারা। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম সমালোচনা করলেন সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, আরও অনেকে ব্যর্থ হলেও স্রেফ পূজারাকে কেন বলির পাঁঠা বানানো হলো?

গত শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য টেস্ট দল দেয় ভারত। যাতে পারফরম্যানের কারণে জায়গা হারান পূজারা ও পেসার উমেশ যাদব। দলে নেওয়া হয় যশভি জয়সাওয়াল, রতুরাজ গায়কোয়াড়দের মতন তরুণদের।

তিন নম্বর পজিশনে এক সময় ভারতের বড় ভরসা এই নিয়ে দেড় বছরের মধ্যে বাদ পড়েন দ্বিতীয়বার। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবার বাদ পড়েন তিনি।  কাউন্টিতে প্রচুর রান করে জুলাই মাসেই জায়গা ফেরত পান। খেলতে থাকেন নিয়মিত। এই সময়ে ৮ ম্যাচে ৪০.১৬ গড়ে দলের সর্বোচ্চ ৪৮২ রান আসে তার ব্যাটেই। তবু ফাইনালের ব্যর্থতায় নাম কাটা যায় তার।

ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গাভাস্কার,  'সে কেন বাদ পড়ল? আমাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য তাকে কেন বলির পাঁঠা করা হলো? সে ভারতের ক্রিকেটের একান্ত অনুগত।'

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হাসেনি অধিনায়ক রোহিত শর্মা, অভিজ্ঞ তারকা বিরাট কোহলির ব্যাটও। তাদের দিকে ইঙ্গিত করে গাভাস্কারের প্রশ্ন জনপ্রিয়তা নেই বলেই কি সহজেই বাদ দেওয়া গেল পূজারাকে,  'সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মিলিয়ন অনুসারী নেই যারা এই বাদ পড়ায় আওয়াজ তুলতে পারে। সেজন্যই তাকে বাদ দিয়ে দিলেন। এটা আমার বোঝার বাইরে। কোন ক্রাইটেরিয়ায় তাকে বাদ দিয়ে অন্য ব্যর্থদের দলে রাখলেন?  আমি জানি না কারণ এখন নির্বাচক কমিটি মিডিয়ায় কথা বলেন না। কোথায় প্রশ্নগুলো করা যাবে।'

৩৫ পেরুনো পূজারা বাদ পড়লেও এখানেই ইতি দেখছেন না গাভাস্কার। লাল বলে রান করে আবার তিনি জায়গা করে নেবেন বলে বিশ্বাস সাবেক এই তারকার,  'সে কাউন্ট ক্রিকেট খেলছে। অনেক লাল বলের ক্রিকেট খেলে। সে জানে কীভাবে কি করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

1h ago