ঈদযাত্রার শুরুতেই বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

শুক্রবার রাতেও গাবতলী টার্মিনালে বেশকিছু যাত্রীর দেখা পাওয়া গেছে। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ইতোমধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন অনেক। শুক্রবার দিনে গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী দিয়ে অনেকে ঢাকা ছেড়েছেন।

রাতেও টার্মিনালগুলোতে যাত্রীর দেখা পাওয়া গেছে। কল্যাণপুর, শ্যামলী ও গাবতলীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সবগুলো বাস কাউন্টার খোলা। সবগুলো কাউন্টারেই বেশ কিছু যাত্রী আছে। দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন তারা। 

যাত্রীরা বলছেন, ছুটির দিন বলে শুক্রবার থেকেই ঈদে বাড়ি যাওয়া শুরু হয়ে গেছে। যেসব সেক্টর ঈদের ছুটি পাচ্ছে, তারা আগেভাগেই চলে যাচ্ছে।

যাত্রীরা কাউন্টার থেকে টিকিট কিনে বাসের অপেক্ষায় আছেন। কেউ কেউ বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরে টিকিটের দাম যাচাই করছেন।

তবে বাসের টিকিটের দাম স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাড়তি চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।

গাবতলীতে সড়কেও বেশকিছু যাত্রীর দেখা মেলে, যারা বাসের অপেক্ষায় আছেন। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

মিরপুর-১২ থেকে গাবতলী এসেছেন কলেজশিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ ও মো. সৈকত। যাবেন গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।

বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্বাভাবিক সময়ে বগুড়ার ভাড়া সাড়ে ৫০০ টাকা। আজ এখানে শ্যামলী পরিবহন থেকে আমাদের কাছে সাড়ে ৭০০ টাকা চাইছে।'

সেখানে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা স্বপন দাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের বাস যাবে গাইবান্ধা, ভাড়া ৭৫০ টাকা। এই বাসে যেখানেই যাবেন ৭৫০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।'

'আসার সময় কম যাত্রী নিয়ে আসতে হয়। এ কারণে যাওয়ার সময় আমাদের পুরো ভাড়াই দিতে হবে,' বলেন তিনি।

ঈদে বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে অন্যান্য বাস কাউন্টারের কর্মীদের দাবি, বছরের অন্যান্য সময় মূল্য তালিকার চেয়ে ভাড়া কম রাখা হয়। ঈদে কম রাখা হয় না। সব গন্তব্যের জন্য শেষ গন্তব্যের ভাড়া রাখা আদায় করা হয়। 

আগামী ২৯ জুন সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ২৭-৩০ জুন। 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

56m ago