গোল্ড মেডেলের জন্য ১০ লাখ টাকার চেক দিলেন পাবিপ্রবি ভিসি

চেক হস্তান্তর করছেন পাবিপ্রবি উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুন গোল্ড মেডেল চালু হতে যাচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য গোল্ড মেডেল চালুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

এসময় উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন বলেন, 'আমি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে গোল্ড মেডেল চালু করলাম। এর মাধ্যমে কৃতি শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।'

এ নিয়ে ড. হাফিজা খাতুন ১২টি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করলেন। এর আগে গবেষণা ও শিক্ষার জন্য

বিভিন্ন গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১১টি ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। তার বাবা-মায়ের নামে 'ফয়জুন্নেসা কবিরুদ্দিন মেমোরিয়াল' নামে ৪টি ট্রাষ্ট ফান্ড গঠন করেন।

এর মধ্যে একটি গবেষণা পরিচালনার জন্য এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, স্বর্ণপদকের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে একটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি 'হাফিজা খাতুন গোল্ড মেডেল ট্রাস্ট ফান্ড' প্রতিষ্ঠা করেছেন। অনার্সে ভালো রেজাল্টের জন্য ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সঙ্গে একটি ও খেলাধুলায় অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য দুটি (একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা)। গাজীপুরের বড় কয়েড় প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে ২টি ট্রাস্ট ফান্ড আছে।

গাজীপুরের কাপাসিয়ার চারটি বিদ্যালয়ে 'হাফিজা খাতুন ও হযরত আলী ট্রাস্ট ফান্ড' আছে। এর বাইরে উপাচার্য মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে অনুদান দিয়েছেন। তিনি কানাডার মাঠপর্যায় থেকে ডাইনোসরের ফসিল সংগ্রহ করে তা বাংলাদেশের জাতীয় যাদুঘর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে দিয়েছেন। তিনি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সদস্য হিসেবে গত ৩০ বছর ধরে মানুষের সেবার করে যাচ্ছেন।

গত মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির উদ্যোগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে শেষ হয়। সেখানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, 'দুর্নীতি দেশ ও জাতির ক্ষতি করে। বিভিন্নভাবে মানুষ দুর্নীতি করে। সব ধরনের দুর্নীতি বন্ধ করা উচিত। আমরা দুর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago