বৃষ্টি উপভোগের জন্য ঢাকার চমৎকার ৫ রেস্টুরেন্ট

ছবি: কাজী আকিব বিন আসাদ

ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে প্রতিনিয়ত ছুটে চলার জীবন মোটেও সহজ নয়। এই অফুরন্ত ব্যস্ততা থেকে চাইলেই ছুটি মেলে না। তবে মাঝেমাঝে যখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে তখন ব্যস্ততা ও ছকে বাঁধা জীবনে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির সৌজন্যে কিছুটা অবসর কিংবা নিজেকে দেওয়ার মতো সময় বের করতে ইচ্ছা হয়।

বৃষ্টির আনন্দকে আরও উপভোগ্য করতে আমরা ঢাকার ভেতর এমন ৫টি রেস্টুরেন্ট খুঁজে বের করেছি, যেগুলোতে গেলে বর্ষা শুধু আরও উপভোগ্যই হবে না, পাবেন সুস্বাদু খাবারের স্বাদও। দুটো মিলিয়ে আপনার যাপিত মুহূর্তগুলোকে অনেক দিন স্মৃতির পাতায় রেখে দেওয়ার মতো হবে।

টেরাকোটা টেলস, তেজগাঁও

খাঁটি বাঙালি খাবারের জন্য এটি ঢাকার অন্যতম সেরা রেস্টুরেন্ট। লুচি-আলুর দম থেকে শুরু করে অভিজাত ইলিশ পাতুরি- সবই পাওয়া যাবে এখানে। খিচুড়ি-হাঁসের মাংস বৃষ্টির দিনের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেবে সন্দেহ নেই। খাবারের ঘ্রাণ কোনো সুন্দর স্মৃতি হয়তো স্মরণ করিয়ে দেবে।

রেস্টুরেন্টটি সাজানো হয়েছে বেত ও কাঠের  আসবাবাপত্র ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে। বড় জানালার পাশে বসে তাদের তৈরি মসলা চা হাতে নিয়ে বৃষ্টি দেখাটা কতটা উপভোগ্য হতে পারে, একবার কল্পনা করে দেখুন!

 

 

প্রেজি, গুলশান

ব্যস্ত গুলশান এভিনিউতে অবস্থিত হলেও এটি ঢাকার অন্যতম শান্ত জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। ফলে নিজেকে সময় দেওয়ার জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। এই রেস্টুরেন্টে নানা পদের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয় এবং এর নান্দনিকতাও খাবারের সঙ্গে মানানসই। হরেক রকমের সকালের নাস্তার মেন্যু, জিভে জল আনা পাস্তার নানা পদ, বেকড আইটেম অথবা ডেজার্ট- রেস্টুরেন্টটিতে সবার জন্যই কিছু না কিছু আছে।

কিছু একটা অর্ডার দিয়ে গ্লাসের জানালার পাশে বসে আকাশে বিদ্যুৎ চমকানো দেখুন। যখন বৃষ্টি নামবে তখন এমন একটা আবহ তৈরি হবে, মনে হবে কবি ও লেখকরা বুঝি তাদের লেখনীতে বৃষ্টি ও প্রেমের এমন বর্ণনাই দিয়েছিলেন।

এল প্যাত্রন, বনানী

ঢাকায় এরচেয়ে মজার ভূমধ্যসাগরীয় খাবার আর কেউ সম্ভবত তৈরি করে না। স্টার্টার থেকে শুরু করে ডেজার্ট পর্যন্ত প্রতিটি ডিশের সৌন্দর্য যেমন লোভনীয়, ঘ্রাণও তেমনি মনোহরী। তাদের অল্প আঁচে রান্না করা মরোক্কান চিকেন থেকে বিফ রিব, প্রতিটি আইটেমই চেখে দেখতে ইচ্ছা করবে। কাঁটা চামচের আলতো চাপেও মাংস ছিঁড়ে আসবে। আর স্বাদের কথা নাই বা বললাম!

সিলান্ট্রো, ধানমন্ডি

ঢাকার মধ্যে বর্ষাকে পুরোপুরি উপভোগ করার মতো জায়গার তালিকা করলে সিলান্ট্রো নিঃসন্দেহে তালিকার উপরের দিকেই থাকবে। রেস্টুরেন্টটির পরিবেশ, আধুনিক গ্রামীণ অন্দরসজ্জা, মৃদু আলো- সবকিছু মিলিয়ে বর্ষার আনন্দ আরও বেড়ে যাবে। মাঝখানে বিশাল খোলা জায়গার কারণে বৃষ্টিকে আরও কাছ থেকে উপভোগ করা যাবে এখানে।

তাদের খাবার তালিকায় আছে পিৎজা, বুরিতোসহ আরও নানা পদের সুস্বাদু ও সুঘ্রাণযুক্ত খাবার।

আজো আইডিয়া স্পেস, উত্তরা

ঢাকার নান্দনিক সজ্জার রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে এটি প্রথম দিকেই আছে। গ্রামীণ ইটের দেয়াল থেকে শুরু করে কাঠের সাজসজ্জা- সবকিছুতেই যেন আছে শৈল্পিক আকর্ষণ। খোলামেলা জায়গা এবং কাঁচের জানালার কারণে বৃষ্টি উপভোগের জন্য রেস্টুরেন্টটি আকর্ষণীয় স্থান।

তাদের চিকেন প্ল্যাটারগুলো নিঃসন্দেহে ঢাকার অন্যতম সেরা। তবে বৃষ্টির দিনে তাদের ক্রাঞ্চি কালামারি এবং এক বাটি সীফুড স্যুপের সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা চলে না।

অনুবাদ করেছেন আহমেদ হিমেল

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands. 

2h ago