বাজবল নয়, নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলেছে বাংলাদেশ
ক্রিকেট বিশ্বে ঝড় তুলেছে বাজবল নামক শব্দটি। টেস্টে ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের দর্শন এটি। ইংল্যান্ডের চালু করা এই আগ্রাসী ঘরানা থেকে কি বাংলাদেশও অনুপ্রেরণা নিয়েছে? প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দিলেন না সূচক জবাব। তিনি জানালেন, আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়া টেস্টে কেবল নিজেদের শক্তির জায়গাকেই প্রাধান্য দিয়েছে টাইগাররা।
গতকাল শনিবার মিরপুর টেস্টে ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে আফগানদের হারায় বাংলাদেশ। ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রাচীন এই সংস্করণের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে রানের দিক থেকে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। আর ১৯৩৪ সালের পর লাল বলের ক্রিকেটে এটাই কোনো দলের সবচেয়ে বড় জয়ের কীর্তি। টেস্টে রানের দিক থেকে এর আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ছিল ২২৬ রানের।
আফগানিস্তানের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত দুই ইনিংসেই হাঁকান সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে তিন অঙ্কের স্বাদ পান মুমিনুল হকও। এছাড়া, ফিফটি আসে মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান ও অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যাট থেকে। ব্যাটারদের কল্যাণে দ্রুত গতির ও সবুজ উইকেটে তরতর করে রান বাড়ায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ওভারপ্রতি ৪.৪৪ গড়ে রান তোলে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে সেটা আরও বেড়ে হয় ৫.৩১।
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে এমন আগ্রাসন দেখানো বাংলাদেশের জন্য একেবারে নতুন বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই তাই বাজবলের সঙ্গে মিল খোঁজার চেষ্টা চলছে। রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া হাথুরুসিংহের কাছে।
জবাবে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কান কোচ জানান যে নিজেদের সামর্থ্য ও ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে খেলেছে তার দল, 'না, (বাজবল থেকে অনুপ্রাণিত নই)! আমরা শুধু রেড বল ক্রিকেট খেলেছি। আমি জানি না, বাজবল কী! আমরা শুধু নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলেছি।'
কন্ডিশনের সহায়তা পেলে ব্যাটারারা ভবিষ্যতেও একই কায়দায় খেলবে বলে উল্লেখ করেন তিনি, 'যদি কন্ডিশন সাহায্য করে, তাহলে অবশ্যই এভাবে খেলব। আমরা সেভাবেই অনুশীলন করেছি। ছেলেদেরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এভাবে খেলার জন্য। খেলাটা তো মূলত রানের। কন্ডিশন যদি কঠিন হয়, তাহলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যাট করব।'
Comments