পুলিশ বক্স থেকে লাইটার চুরির অভিযোগে শিশুকে মারধর

লাইটার চুরির অভিযোগে শিশুকে পুলিশের মারধর
আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে নগরীর টাইগারপাস পুলিশ বক্সের পাশে শিশুটিকে মারধর করে পুলিশ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

চট্টগ্রামে পুলিশ বক্স থেকে লাইটার চুরি অভিযোগে শিশুকে মারধর করেছে পুলিশ সদস্য। তবে শিশুটির দাবি সে লাইটার নেয়নি।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে নগরীর টাইগারপাস পুলিশ বক্সের পাশে ওই ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার হওয়া ওই শিশুটি ট্রাফিক বক্সের পাশের একটি দোকানে কাজ করে। পাশের রেলওয়ে কলোনিতে থাকে সে।

শিশুটি দাবি করে জানায়, সে লাইটার নেয়নি। অন্যায়ভাবে তাকে মারধর করেছেন সেই পুলিশ সদস্য।

মারধরের সময় সেই পুলিশ সদস্যের হাতে সিগারেট ছিল। ওই ঘটনায় ৩০ সেকেন্ডের একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারধর করা ওই পুলিশ সদস্যের নাম শওকত। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের র‍্যাকার চালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একটি জাতীয় দৈনিকের আলোকচিত্রী এস এম তামান্না দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন 'সেই পুলিশ সদস্য টাইগার পাস মোড় ট্রাফিক বক্সের রাস্তার পাশের দোকানে প্রবেশ করে হঠাৎ করে শিশুটিকে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন।'

তামান্না আরও বলেন, 'মারধরের কারণ জানতে চাইলে শওকত জানান, "লাইটার নিয়ে এসেছে সে" তবে শিশুটি বলে "সে লাইটার আনেনি"। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্য চলে যান।'

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে কনস্টেবল শওকত বলেন, 'ওই ছেলেটির আগে চুরির অভ্যাস আছে। আগেও সে মোবাইল, চার্জারসহ অনেক কিছু চুরি করেছে। তার মাকে একাধিক বার বলা হয়েছে এই বিষয়ে।'

শেষে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশ সদস্য এই প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য চট্টগ্রামের ডিসি (ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ) এন এম নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

3h ago