স্বজনরা খুঁজছেন স্বজনদের: নিহত বেড়ে ২৯৪
আরও অনেকের মতো পশ্চিমবঙ্গের বৈশাখী ধর খুঁজছেন তার স্বামী নিখিল ধরকে। তিনি বলেন, 'এক পুলিশ সদস্য আমাদের ফোন করে এখানে আসতে বলেছেন।'
বৈশাখী স্বামীর লাগেজ ও মোবাইল ফোন পেয়েছেন। কিন্তু, তার কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না।
আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকর্মী ও স্বজনরা এখনো দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বগিগুলো তল্লাশি করছেন।
এতে আরও বলা হয়, আজ স্থানীয় সময় ভোরে আরও ৫ মরদেহ এনে ঘটনাস্থলের কাছে একটি স্কুলে রাখা হয়েছে।
এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেছেন, 'জানি না, আরও কত মরদেহ আসবে।'
উদ্ধারকর্মীরা ভারি যন্ত্র দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন, ছিঁড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তার পরিষ্কার করছেন। অন্যদিকে, স্বজনরা খুঁজছেন খোঁজ না মেলা স্বজনদের।
আজ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইম জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ২৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ওডিশা রাজ্যের বালেশ্বর জেলার হাসপাতালগুলোয় আহতদের উপচে পড়া ভিড়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মরদেহ শনাক্তের কাজ এখনো চলছে। স্বজনরা অধীর আগ্রহে তাদের নিখোঁজ প্রিয়জনদের খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থলের কাছে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রাখা মরদেহগুলো শনাক্তের কাজ চলছে। সেখানে ভিড় করেছেন স্বজনরা। কারো চোখে অশ্রু, কারো হাতে আইডি কার্ড, কারো হাতে হারানো প্রিয়জনের ছবি।
অনেকের মতো সেখানে ছিলেন কাঞ্চন চৌধুরী (৪৯)। তিনিও খুঁজছেন তার নিখোঁজ স্বামীকে। তাদের গ্রামের ৫ জন ট্রেনে ছিলেন। তাদের ৪ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কাঞ্চন রয়টার্সকে জানান, তার স্বামীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সঙ্গে তার ও স্বামীর ছবি নিয়ে সেখানে তিনি কাঁদছিলেন। এক কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করছিলেন ক্ষতিপূরণের।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিহতদের পরিবারপ্রতি ১০ লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের জনপ্রতি ২ লাখ রুপি ও অল্প আঘাত পাওয়া ব্যক্তিদের জনপ্রতি ৫০ রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারপ্রতি ২ লাখ রুপি ও আহতদের জনপ্রতি ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন।
গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ওডিশা রাজ্যের বালেশ্বরে ২ যাত্রীবাহী ও ১ মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে।
Comments