শিল্পীর কোনো সীমানা নেই, তিনি সবার: জয়া আহসান

জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় বাংলা সিনেমায় নিয়মিত অভিনয়ের ১০ বছর পার করলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসান। বিজয়া, বিসর্জন, ঝরা পালকসহ অনেকগুলো সিনেমায় অভিনয়ের জন্য বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। শুরুটা করেছিলেন 'আবর্ত' সিনেমা দিয়ে। পুরস্কার, সম্মান, কলকাতার মানুষের ভালোবাসা—সবই পেয়েছেন শিল্পী হিসেবে ।

গতকাল মুক্তি পেয়েছে নতুন সিনেমা 'অর্ধাঙ্গিনী'। বর্তমানে কলকাতায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। কলকাতা থেকে মুঠোফোনে জয়া আহসান কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

দ্য ডেইলি স্টার: বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতায় অবস্থান করছেন এবং গতকাল সেখানে 'অর্ধাঙ্গিনী' সিনেমার প্রিমিয়ার ছিল। কেমন লাগল নিজের সিনেমা দেখে?

জয়া আহসান: নিজের সিনেমার কথা নিজে বলা কঠিন। তারপরও বলছি, ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই খুব প্রশংসা করছেন। অ্যাপ্রিশিয়েট করছেন সবাই। সবার প্রশংসা শুনে আমার ভালো লাগছে। এটাই একজন শিল্পীর পাওয়া বলে আমি মনে করি।

ডেইলি স্টার: কলকাতায় কতটা ব্যস্ত সময় কাটছে?

জয়া আহসান: দারুণ ব্যস্ত সময় কাটছে এখানে। গতকাল তো প্রিমিয়ার ছিল। এ ছাড়া কয়েকদিন ধরে 'অর্ধাঙ্গিনী' সিনেমার প্রচারের জন্য সময় দিলাম। আজ হল ভিজিটে যাব। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কাছ থেকে দেখব। তাদের ভালোবাসার প্রকাশ দেখব নতুন সিনেমা নিয়ে।

ডেইলি স্টার: 'অর্ধাঙ্গিনী' সম্পর্কে বলুন?

জয়া আহসান: খুব সংবেদনশীল একটি সিনেমা। স্ট্রং গল্পের একটি সিনেমা। মানুষের ভালো লাগবে। কৌশিক গাঙ্গুলি পরম যত্ন করে সিনেমাটি বানিয়েছেন। প্রচণ্ড আশাবাদী আমি। এটি মূলত মানুষের সিনেমা।

জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

ডেইলি স্টার: এর আগেও কৌশিক গাঙ্গুলির ২টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এই সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশা?

জয়া আহসান: আশা করছি 'অর্ধাঙ্গিনী' সিনেমাটি সফল হবে। বিশ্বাস থেকে বলছি। কৌশিক দা অনেক বড় মাপের পরিচালক। উচ্চমাপের একজন পরিচালক। তার সঙ্গে আরও কাজ করতে চাই। এর আগে বিজয়া ও বিসর্জন করেছি। আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন দর্শকরা সিনেমা ২টি দেখে। কৌশিক দার কাছ থেকে ২টি সেরা চরিত্র পেয়েছি। পদ্মা চরিত্রটি করতে পেরেছি, যা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা একটি চরিত্র।

ডেইলি স্টার: কলকাতার দর্শকদের প্রতি কতটা কৃতজ্ঞ আপনি?

জয়া আহসান: কলকাতার দর্শকদের প্রতি আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। এখানকার দর্শকরা আমাকে যে সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে আসছেন, সত্যিই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। শুধু এখানকার শহরের দর্শকরাই নন, একেবারে গ্রামের দর্শকরাও আমাকে ভালোবাসেন, আমার সিনেমা দেখেন। এটা যে কতটা ভালো লাগার, তা বলে শেষ করবার নয়।

ডেইলি স্টার: ১০ বছর ধরে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় অভিনয় করছেন এবং পুরস্কার-সম্মাননা পেয়েছেন। এই সাফল্যটা কেমন লাগছে?

জয়া আহসান: ভালো তো লাগছেই। অবশ্যই খুশির কথা এটা। দেখতে দেখতে ১০টি বছর কেটে গেল এখানকার সিনেমায়। ১০ বছরে খুব বেশি সিনেমা হয়তো করিনি। কিন্তু কিছু ভালো সিনেমা আমার ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়েছে। যে সিনেমা আমাকে মানুষের ভালোবাসা দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে। এখানকার পরিচালক, প্রযোজক, দর্শক, সিনেমা অঙ্গনের সবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি।

জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

ডেইলি স্টার: বাংলাদেশি শিল্পী আপনি। ভারতীয় বাংলা সিনেমায় আপনার অনন্য অবস্থান। কখনো কি মনে হয়েছে শিল্পীর সীমানা থাকা উচিত নয়?

জয়া আহসান: শিল্পীর কোনো সীমানা নেই। শিল্পীর সীমানা থাকা উচিত নয়। একজন শিল্পী সবার। একজন শিল্পীর সবখানে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা থাকতেই পারে। আমি সবুজ পাসপোর্ট ক্যারি করি, আমার দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে অভিনয় করার সময় আমি শুধু শিল্পীই। অবশ্যই আমার দেশকে আমি ভালোবাসি এবং সবার আগে আমার দেশ।

ডেইলি স্টার: চূর্ণী গাঙ্গুলির সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা?

জয়া আহসান: অসাধারণ সব অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক বড় মাপের শিল্পী তিনি। অনেক বড় মাপের মানুষও। শিল্পী জীবনের সুখকর কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে তার সঙ্গে অভিনয় করে।

জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

ডেইলি স্টার: কোনো আফসোস কিংবা কষ্ট কাজ করে?

জয়া আহসান: আমার দেশের দর্শকরা যদি সিনেমাটি দেখতে পেতেন, এই আফসোসটা সবসময়ই কাজ করে। বিশেষ করে নতুন সিনেমা মুক্তির সময়। এবারও একই অনুভূতি কাজ করছে।

Comments

The Daily Star  | English

India’s fencing along border ‘unauthorised’

Dhaka has told New Delhi that the construction of barbed wire fences by the Indian Border Security Force along the Bangladesh-India border “without proper authorisation” undermines the spirit of cooperation and friendly relations between the two nations.

8h ago