আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী বাজেট করিনি: অর্থমন্ত্রী

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল আহম মুস্তফা কামাল | ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আইএমএফ শুধুমাত্র অর্থ দিয়েই সাহায্য করে না। পাশাপাশি তারা কিছু প্রজেক্টের পরামর্শও দেয়। প্রজেক্টগুলো কীভাবে সুন্দরভাবে কম সময়ে ডেলিভার করা যাবে, সে বিষয়েও পরামর্শ দেয়। অনেক সময় তাদের পরামর্শ নিয়ে সফল হই।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, তাদের পরামর্শ মোতাবেক আমরা বাজেট তৈরি করিনি। তাদের ওভারঅল যে পরামর্শ আছে সেখান থেকে যেটুকু গ্রহণ করা যায়, আমরা মনি করি তা গ্রহণ করা উচিত সেটা গ্রহণ করব।'

'আমরা যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করি, সেসময় প্রথম বছর রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেখান থেকে আমরা এটা ২ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। সুতরাং আমি মনে করি, আমাদের যে প্রজেকশনগুলো আছে তা পূরণ করতে পারব,' বলেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেট প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বিভিন্ন সময় বাজেটে আমি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে পারব আমি সবগুলো পূরণ করেছি। আমি বলেছিলাম ২ কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করব। আমরা ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করেছি।'

'দেশে কর্মসংস্থানের পরিমাণও বেড়ে গেছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কর্মসংস্থানের জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এমনকি, "মেইড ইন বাংলাদেশ" কনসেপ্টের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দেশে যা তৈরি হবে তা আমাদের প্রয়োজন মেটাবে। কর্মসংস্থান তৈরি করবে।'

গতকাল মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বড়।

এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago