চালকের আসন থেকেও আবাহনীর হারের কারণ জানালেন লেমোস

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে চালকের আসনে থেকে বিরতিতে গেল আবাহনী লিমিটেড। ফেডারেশন কাপের শিরোপা নিজেদের করে নিতে মাত্র ৪৫ মিনিটের অপেক্ষা ছিল তাদের। কিন্তু বিরতির পর থেকে পাল্টাতে থাকল চিত্র। উত্থান-পতন, রোমাঞ্চ, উত্তাপ, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যকার লড়াইয়ের পুরনো আমেজ– সবকিছুরই দেখা মিলল। প্রত্যাবর্তনের স্মরণীয় গল্প লিখে শেষ হাসি হাসল মোহামেডান। হতাশায় পুড়তে থাকা আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস দায় নিলেন নিজের কাঁধে।

মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহামেডান। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে আলফাজ আহমেদের শিষ্যরা। এর আগে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে জমজমাট খেলা শেষ হয় ৪-৪ সমতায়।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তুলল ঐতিহ্যবাহী সাদা-কালোরা। সবশেষ ২০০৯ সালে আবাহনীকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান। মাঝে তারা একবারও এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে পারেনি।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও দানিয়েল কলিনদ্রেসের লক্ষ্যভেদে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে আবাহনী। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে সমতায় ফেরে মোহামেডান। জোড়া গোল করেন সুলেমানে দিয়াবাতে। ফেডারেশন কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জেতা এই মালিয়ান স্ট্রাইকার পরে আরও দুবার জাল খুঁজে নেন। অর্থাৎ ফাইনালে একাই চার গোল করেন তিনি। আবাহনীর বাকি দুই গোলদাতা এমেকা ওগবাহ ও রহমত মিয়া।

শিষ্যদের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর কয়েক মিনিটের পারফরম্যান্সকে কাঠগড়ায় তুলেছেন লেমোস। তার মতে, সেসময় মোহামেডানকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছে আবাহনী। ফাইনালের পর গণমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন, '(বিরতি পর্যন্ত) আমরা অনেক আরামদায়ক অবস্থানে ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধটা আমরা শুরু করি অনেক ধীর গতিতে, প্রথম ১৫ মিনিটে আমাদের তাড়না ছিল খুবই কম। আমরা মোহামেডানকে ম্যাচে ফিরতে দিয়েছি। আর যখন (তাদের) খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায়, তখন এটা খুব কঠিন হয়ে পড়ে (আমাদের জন্য)। এটা একটা ফিফটি-ফিফটি ম্যাচ হয়ে দাঁড়ায়।... আর অবশ্যই, পেনাল্টিতে তারা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।'

এবারের ২০২২-২৩ মৌসুমে কোনো শিরোপা জিততে পারেনি আবাহনী। সেই দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন পর্তুগিজ নাগরিক লেমোস, 'আমাদের শিরোপা জেতা উচিত ছিল। আমি এর পুরো দায় নিচ্ছি।'

নিজেরা হতাশ হলেও প্রতিপক্ষকে শুভেচ্ছা জানাতে অবশ্য কোনো কার্পণ্য নেই ৩৭ বছর বয়সী এই কোচের, 'অবশ্যই এটা হশাজনক। আমরা শিরোপা জয়ের খুব কাছে ছিলাম। আমরা ফাইনালে উঠেছি, আমরা অনুভব করছিলাম যে আমরা জিততে পারব। কিন্তু আমরা হেরে বসলাম। এটাই বাস্তবতা। মোহামেডানকে অভিনন্দন।'

বিরতির সময় আত্মতুষ্টিতে যাতে কেউ না ভোগে, খেলোয়াড়দের সেই বার্তা দিয়েছিলেন লেমোস। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে সেটাই ঘটতে দেখায় কিছুটা বিস্ময়ও শোনা গেছে তার কণ্ঠে, 'হয়তো, হয়তো (আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলাম)। বিরতির সময় কিন্তু এটার একেবারে উল্টোটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago