তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় ৩ ব্যাংকারের সাক্ষ্যগ্রহণ

তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় আজ ঢাকার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আরও ৩ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তারা হলেন, এবি ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার ইমরান আহমেদ, এবি ব্যাংকের হেড অফিসের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট এসএম মুসা করিম এবং সিনিয়র সহকারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওবায়দুর রশিদ খান।

ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

সাক্ষীরা তাদের জবানবন্দিতে আদালতকে জানান, মামলার তদন্তকালে তারা এবি ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় কর্মরত ছিলেন। এ সময় তাদের উপস্থিতিতে তাদের কার্যালয় থেকে জোবায়দা রহমানের এফডিআর সংক্রান্ত কিছু নথি জব্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)।

অভিযোগপত্রে দম্পতিকে পলাতক দেখানো হয়েছে। আজ আদালতে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

আগামীকাল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের তিন সাক্ষী বিভিন্ন তারিখে আদালতে তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ১৩ এপ্রিল তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তার আগে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি চেয়ে এক আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

তারেক ও জোবায়দা ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে রয়েছেন।

তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গ্রহণ করে গত বছরের ১ নভেম্বর এই আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের ২৬ জুন, হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে 'পলাতক' ঘোষণা করে এবং দুর্নীতির মামলা দায়েরকে চ্যালেঞ্জ করে তাদের রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

মামলার স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে আজ মাসুদ আহমেদ তালুকদারের নেতৃত্বে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের একটি অংশ আদালতে হাজির হয়ে টানা পাঁচ দিন সময় নির্ধারণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান।

বিচারক তাদের বলেন, পাঁচ দিন সময় দিতে কোনো বাধা আছে কিনা। এসময় আইনজীবীরা না সূচক জবাব দেন।

পরে আইনজীবীরা আদালত থেকে বের হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে সমাবেশ করেন। এবং তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

6h ago