তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে সোমবার

তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়ার তারিখ পিছিয়ে আগামীকাল সোমবার ধার্য করেছেন আদালত।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আজ কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে না পারায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

ইতোমধ্যে, পুলিশ দুটি পৃথক আবেদনে জানিয়েছে আভিযোগপত্রে উল্লেখ করা চার সাক্ষী - ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক কর্মকর্তা লায়লা জাকারিয়া এবং প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, আবদুল্লাহ আল হাসান এবং শেখ আশরাফুল ইসলামকে তাদের ঠিকানায় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ আরও জানায়, ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ মামলার সাক্ষী সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঠিক ঠিকানা জানেন না।

এর আগে মামলার অভিযোগকারীসহ তিন জন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ১৩ এপ্রিল তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে আদালতে তাদের অনুপস্থিতিতে আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি চেয়ে এক আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

তারেক ও জোবায়দা ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে আছেন।

তারেক আরও ১৫টি মামলার আসামি, যার বেশির ভাগই ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা হয়েছিল এবং জোবায়দাকে এই একটিতে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গ্রহণ করে গত বছরের ১ নভেম্বর এই আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের ২৬ জুন, হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে 'পলাতক' ঘোষণা করে এবং দুর্নীতির মামলায় চ্যালেঞ্জ করে তাদের রিট আবেদন খারিজ করে দেয়।

মামলার স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেয় হাইকোর্ট।

অবৈধ উপায়ে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুদক কাফরুল থানায় দুজন ও জোবায়দার মা সৈয়দা ইকবাল মন্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

তদন্তের পর তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

তবে জোবায়দার মায়ের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

10h ago