টঙ্গীর ৭ কেন্দ্র: টেবিল ঘড়ি-হাতি প্রতীকের এজেন্ট নেই, ভোটগ্রহণে ধীরগতি

‘সকালে মেশিনে সমস্যা হওয়ায় ভোটগ্রহণে ধীরগতি ছিল। এখন তা ঠিক হয়েছে।’
ভোটগ্রহণেও ধীরগতি বলে অভিযোগ ভোটারদের। ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে টঙ্গীর ৭টি কেন্দ্রে নৌকার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী টেবিল ঘড়ি ও হাতি প্রতীকের কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি।

স্বতন্ত্র মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। আর হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম লড়ছেন।

এই ৭টি কেন্দ্র হলো— রাইজিং সান একাডেমি কেন্দ্র, রেনেসাঁ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নারী কেন্দ্র, ন্যাশনাল প্রি-ক্যাডেট স্কুল কেন্দ্র, শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, টঙ্গী দারুল এহসান মাদ্রাসা কেন্দ্র, টঙ্গী দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্র ও সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র।

এসব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি থাকলেও ইভিএমে ভোটগ্রহণে ধীরগতি দেখা গেছে। সকাল ৮টা থেকে ২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ১১ শতাংশ।  

ভোটারদের অভিযোগ, ভোটগ্রহণে সময় লাগছে। ধীরগতিতে চলছে ভোটগ্রহণ।

রাইজিং সান একাডেমি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো দেলোয়ার হোসেন জানান, ২ ঘণ্টায় তার কেন্দ্রে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭০৩ জন। ২ ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ১০৯ জন। 

রেনেসাঁ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জানান, এই কেন্দ্রে ২ হাজার ১৬ জন ভোটার আছেন। ২ ঘণ্টায় ৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।

টঙ্গীর একটি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের লাইন। ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

সরেজমিনে দেখা গেছে, এই কেন্দ্রটি নারী ভোটারদের জন্য এবং এখানেও ধীরগতি ভোটগ্রহণ চলছে। নারীদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

ন্যাশনাল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন জানান, ২ ঘণ্টায় সেখানে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষের সামনে প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা থেকেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, 'টেবিল ঘড়ি ও হাতি প্রতীকের কোনো এজেন্টকে দেখিনি। তারা কেউ আমাদের কাছে আসেনি।'

ভোটগ্রহণে ধীরগতির বিষয়ে তিনি বলেন, 'সকালে মেশিনে সমস্যা হওয়ায় ভোটগ্রহণে ধীরগতি ছিল। এখন তা ঠিক হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Personal data up for sale online!

A section of government officials are selling citizens’ NID card and phone call details through hundreds of Facebook, Telegram, and WhatsApp groups, the National Telecommunication Monitoring Center has found.

2h ago