বিমানবন্দরে নির্মিত হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম আন্ডারপাস

ফাইল ফটো

ঢাকা বিমানবন্দরের টার্মিনাল, রেলওয়ে, বিআরটি, এমআরটি স্টেশন ও হজ ক্যাম্পকে সংযুক্ত করতে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্ডারপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

প্রকল্পের নথিতে দেখা গেছে, এর প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা। সরকারি কোষাগার থেকে এই অর্থ খরচ করা হবে। প্রকল্পটির সময়কাল ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। জেপিজেড কনসাল্টিং (বাংলাদেশ) লিমিটেড এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে বলেও নথিতে উল্লেখ আছে।

আন্ডারপাসগুলোয় লিফট, এসকেলেটর, ট্রাভেলেটর (চলন্ত ওয়াকওয়ে) ও অন্যান্য সুবিধা থাকবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পাওয়ার পর পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে। তাদের 'সামান্য তবে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ' তা পুনরায় জমা দিতে বলা হয়েছে।

দেশের অন্যতম ব্যস্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও অন্যদিকে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন।

নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর মানুষকে লাগেজ হাতে রাস্তা পার হতে হয়। বাস বা ট্রেন ধরতে অন্য দিকে যেতে হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কাছাকাছি থাকা ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করে ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭৭৭ জন চলাচল করতে পারলেও তা লোকসংখ্যা অনুযায়ী পর্যাপ্ত নয়।

পাশে আশকোনা হজ ক্যাম্পে যাওয়া ব্যক্তিদেরও রাস্তা পারাপার হতে হয়।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ২টি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও নির্মাণ করছে। এর একটি বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এবং অন্যটি বিমানবন্দর থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকা ইপিজেড পর্যন্ত।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রো রেল (ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লাইন-১) বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ডেডিকেটেড বাস করিডর নির্মিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক গতকাল বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিমানবন্দর এলাকাটি পরিবহন কেন্দ্রে পরিণত হবে। আন্ডারপাসটিতে এক মোড থেকে অন্য মোডে যাতায়াতের সুবিধা পাওয়া যাবে।'

নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, '১ দশমিক ৭ কিলোমিটার টানেল নির্মাণে সর্বাধিক ৫৮৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং মাটি কাটা ও সেগুলো শক্তিশালী করতে ২২৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

৮টি লিফট, ২৮টি এসকেলেটর, ২৫টি ট্রাভেলেটর ও অন্যান্য সুবিধার জন্য খরচ হবে ১০৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বাকি টাকা অন্যান্য কাজে ব্যয় করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

13h ago