পিৎজা পার্টি করার দিন আজ

পিৎজা পার্টি ডে, পিৎজা, দিবস, বিচিত্র দিবস,
স্টার ফাইল ছবি

আজকের ছুটির দিনটি আরও সুন্দর করে উপভোগ করতে চান। তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে পিৎজা খেতে পারেন। তাতে একসঙ্গে দুটো কাজ হয়ে যাবে। প্রথমত, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত একটি দিবসও উদযাপন হয়ে যাবে।

আপনি হয়তো বুঝতে পারেননি পিৎজার সঙ্গে কেন দিবসের কথা আসছে। আর তার সঙ্গে পিৎজার কী সম্পর্ক? এই প্রশ্নের একদম সরল উত্তর, আজ ১৯ মে পিৎজা পার্টি ডে। তাই কোনো চিন্তা-ভাবনা না করে বন্ধুদের সঙ্গে পিৎজার স্বাদ উপভোগ করুন।

পিৎজা অনেকের পছন্দের খাবার এবং এর দীর্ঘ ইতিহাস আছে। দিন দিন এই খাবারটি অফিস মিটিং, জন্মদিনের পার্টি কিংবা বন্ধুদের আড্ডার অন্যতম অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে।

পিৎজা পার্টি দিবসের ইতিহাস জানা না গেলেও পিৎজার আছে দীর্ঘ ইতিহাস। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ এই সুস্বাদু খাবারটি উপভোগ করে আসছে। তবে অবশ্যই, শুরুতে এটি এখনকার পিৎজার মতো দেখতে ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান চেহারায় এসেছে।

গ্রিকরা প্রথম পিৎজার মতো কিছু বানিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তারা রুটি, ভেষজ, তেল, পনির দিয়ে রুটির মতো এটি বানান। এর আরেকটি সংস্করণ বানিয়েছিলেন রোমানরা। তারা মধু, পনির, ময়দা ও তেজপাতা দিয়ে পিৎজার মতো কিছু বানিয়েছিলেন।

১৯০৫ সালে নিউইয়র্ক সিটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পিৎজার প্রবেশ। তারপর থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে পিৎজার জন্য প্রতি বছর ২ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি পনির উত্পাদিত হয়।

পিৎজা নিয়ে কিছু তথ্য দেখে নিন- পশ্চিম ইউরোপ বিশ্বের বৃহত্তম পিৎজা বাজার। সেখানে প্রায় ৫৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পিৎজা বিক্রি হয়। তারপরে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। ল্যাটিন ও দক্ষিণ আমেরিকাতে ১৬.৮ বিলিয়ন ডলার। মার্কিনিরা প্রতি সেকেন্ডে ৩৫০ টুকরো পিৎজা অর্ডার করেন বলে ডে'জ অব দ্য ইয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি পিৎজার দাম ৯ হাজার ২০০ ডলার এবং এটি পাওয়া যাবে সিসিলির স্যালারনোতে। বিশ্বের ৬১ শতাংশ মানুষ পাতলা-ক্রাস্ট পিৎজা পছন্দ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control: Police seek to stop use of lethal weapon

The police may stop using lethal weapons and lead pellets for crowd control as their widespread use during the July mass uprising led to massive casualties and global criticism.

7h ago