১৮ কিমি গতিতে এগোচ্ছে মোখা, কক্সবাজার থেকে ৩৫০ কিমি দূরে: ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজ মধ্যরাত থেকেই টেকনাফে বৃষ্টি হচ্ছে। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা ১৮ কিলোমিটার গতিতে উৎপত্তিস্থল থেকে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোচ্ছে।

আজ রোববার ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ২৪ নম্বর বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৭৫০ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্বে, বাংলাদেশের কক্সবাজারের দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম উপকূল থেকে ৩৫০ কিলোমিটার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে থেকে ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, আজ দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে। সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ১৮০ থেকে সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

টেকনাফ থেকে দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী জানান, গতকাল মধ্যরাত থেকেই সেখানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যা সকাল পর্যন্ত অব্যাহত আছে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। সকাল থেকেই টেকনাফের রাস্তায় যানবাহন নেই বলরেই চলে। জরুরি প্রয়োজন চাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না।

টেকনাফের বাসিন্দা রোজিনা খাতুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্র বেশ উত্তাল। আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে আমরা স্থানীয় একটি হোটেলে আশ্রয় নিয়েছি।'

শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে।

গতকাল থেকেই কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Comments