গাজীপুর সিটি নির্বাচন

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শত-সহস্র সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়: সিইসি

আজ বুধবার দুপুরে জয়দেবপুরে আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের তুলে ধরা অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, 'নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শত-সহস্র সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়।'

আজ বুধবার দুপুরে জয়দেবপুরে আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই কথা বলেন।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'কতগুলো সমস্যা শ্বাশত, যেমন কালো টাকার কথা বলেছেন। এখানে কিন্তু আপনাদেরকে...যেটাকে আমরা বলি সেলফ ডিফেন্স, আত্মরক্ষার্থমূলক বা নিজের স্বার্থে যেটা করণীয় সেই পদক্ষেপগুলো আপনাদেরকে নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শত-সহস্র সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়।'

'মাঠে যখন খেলা হবে ২ পক্ষকেই খেলতে হবে। আমি যদি কালো টাকা বিতরণ করে থাকি, আরেকজনকে এই কালো টাকা বিতরণ প্রতিহত করার চেষ্টা করতে হবে—যতদূর সম্ভব। পারবেন কি পারবেন না...কিন্তু নির্বাচন কমিশন এসে, পুলিশ এসে রাতারাতি সেটা করতে পারবে অনেক ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হবে না,' বলেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, 'এই কালো সংস্কৃতি থেকে আমাদের ধীরে ধীরে উঠে আসতে হবে। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থায় এখনো অনেক অপসংস্কৃতি-কালো সংস্কৃতি রয়ে গেছে। আপনাদের চেষ্টায় হয়তো একটা সময় আসবে যখন আমরা-আপনারা সকলে সুশৃঙ্খল-অহিংসভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা কিছু করণীয়, যতটুকু আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে...আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব থাকবে না, আমাদের চেষ্টার কোনো অভাব থাকবে না। আমরা পুরোপুরি সেই চেষ্টাটা করব।'

'এটা ঠিক যে, নির্বাচন কমিশন...আপনারা বলেছেন, আমরা এককভাবে তেমন কিছু করতে পারব না। যদি আমাদের সহযোগী প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন তাদের দায়িত্ব শক্তভাবে এবং পেশাগতভাবে ডিসচার্জ করে না থাকে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, এটা যেহেতু মেট্রোপলিটন এরিয়া, এখানে কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের গুরুত্ব জেলা পুলিশের চেয়ে অধিক। বেশ কিছু ম্যাজিস্ট্রিয়াল পাওয়ার পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ কর্মকর্তাদের দেওয়া আছে,' বলেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে শুধু আমরা না, সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা যখন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করি, আমরা যখন দেখি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। আমরা কিন্তু তাদের মুখ চেপে ধরতে পারছি না। যদি সম্ভব হতো, মুখ চেপে ধরতাম কিন্তু মুখ চেপে ধরতে পারব না, পৃথিবীটা এখন উন্মুক্ত।'

'আমাদের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা, ইউকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান কথা বলছে এবং ইউনাইটেড নেশনস থেকেও কথা বলা হচ্ছে। কাজেই গাজীপুরের যে নির্বাচনটা হতে এটার গুরুত্ব আমাদের কাছে অত্যাধিক। কারণ আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, এর আগে এত বড় পরিসরে একটি নির্বাচন জাতীয়ভাবে অনেক গুরুত্ব বহন করবে বলে আমরা মনে করি,' বলেন সিইসি।
 
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, 'গাজীপুরের ক্ষেত্রে যদি একাধিকবার নির্বাচন বাতিল করতে হয় একাধিকবার নির্বাচন বাতিল করা হবে। পুনরায় নির্বাচন করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

5h ago