ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় ধান ও অন্যান্য ফসল দ্রুত সংগ্রহের পরামর্শ
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যেটি ১২ অথবা ১৩ মে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ফলে এই সময়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফসলের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
গতকাল মঙ্গলবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে, পাকা ধান (৮০ শতাংশ), পরিপক্ব আম ও অন্যান্য সংগ্রহ উপযোগী ফসল দ্রুত সংগ্রহ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সব অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকদের বলা হয়েছে, কৃষকদের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার সর্তকর্তামূলক তথ্য মাঠে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ; সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থেকে কৃষকদেরকে পরামর্শ প্রদানের জন্য কৃষকের পাশে থাকা ও আবহাওয়া সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য ও পরামর্শের জন্য বিএএমআইএস পোর্টাল অনুসরণ করতে।
আজ বুধবার সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২) এই তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
Comments