সার্ভারে সাইবার হামলায় বিমান কর্মীদের বেতন দিতে দেরি

বিমান
ফাইল ছবি

বিমানের প্রায় ৪ হাজার কর্মী গত মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন সময়মতো পাননি। মার্চে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ই-মেইল সার্ভারে র‍্যানসামওয়্যার আক্রমণের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

বিমানের প্রতিটি কর্মকর্তাকে পাঠানো সব ই-মেইলে প্রবেশ করে র‍্যানসামওয়্যার। এসব ই-মেইলের মধ্যে উড়োজাহাজ, রুট, ক্রু, পাইলট, বিমানবন্দর, সময়সূচি, যাত্রী, ক্রয় ও বিলিং সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য রয়েছে।

হ্যাকাররা বিমানের সার্ভারে ফিরিয়ে দিতে ৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছিল বলে জানা গেছে, যদিও বিমান কর্তৃপক্ষ মুক্তিপণের বিষয়টি অস্বীকার করেছিল তখন।

মুক্তিপণের অর্থ না পেলে হ্যাকাররা বিমানের সার্ভারের ডেটা প্রকাশ করার হুমকি দেয়। তারা বিমানের মানবসম্পদ, আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ সংস্থাটির সফটওয়্যারে প্রবেশ করতে পেরেছে বলে দাবি করেছিল।

বিমানের এক পাইলট নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোববার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে প্রবেশ করতে না পারায় ফেব্রুয়ারির বেতনের ভিত্তিতে ম্যানুয়ালি আমাদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেছে।'

'বেতন তোলার সময় আমরা কোনো স্লিপ পাইনি এবং আমাদের কোনো ভাতা বা ওভারটাইম দেওয়া হয়নি,' বলেন তিনি।

বিমানের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, বিমানের কর্মীরা সাধারণত মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে বেতন পান।

কিন্তু আরেক পাইলট জানান, এপ্রিল মাসের বেতন তারা ৭ মে রাতে পেয়েছেন এবং এ ধরনের বিলম্ব 'নজিরবিহীন' বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মার্চের বেতন পেতেও একইরকম দেরি হয়েছিল বলে বিমানের কর্মীরা জানিয়েছেন।

বিমানের অর্থ বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সার্ভারে হামলার পর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব বেতন-ভাতার তথ্য হারিয়ে ফেলেছে। মার্চের ওই ঘটনার পর থেকে অর্থ বিভাগ সমস্যায় পড়েছে।'

তিনি বলেন, 'তহবিল সংকটের কারণে বেতন দিতে দেরি হয়নি। আমাদের অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে হয়েছে এবং সিস্টেমটি ঠিকমতো আছে কি না, তাও নিশ্চিত করতে হয়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Fakhrul calls for unity among parties to restore democracy

Says empowering people through elections is the shared responsibility of all political forces

1h ago