আমি ঋণ খেলাপি না, আপিলে যেতে চাই: জাহাঙ্গীর আলম
আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র পদপ্রার্থী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
আজ সোমবার দুপুরে হাইকোর্ট বিভাগ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আমি নিজে কোনো ঋণ নেইনি। ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করিনি। আমি ঋণ খেলাপি না। আমি ন্যায় বিচারের আশায় আছি, বাকিটা আল্লাহ জানে।'
হাইকোর্ট বিভাগ রায় দিয়েছেন আপনি আর নির্বাচন করতে পারছেন না, এখন আপনার পরিকল্পনা কী, জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের জাহাঙ্গীর বলেন, 'আপিল বিভাগের যাওয়ার পথ আছে। আমি আপিলে যেতে চাই। আমাদের আরও কিছু কাউন্সিলরের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তারা ২৭ তারিখে ঋণ পরিশোধ করে দেন। অনেকে গ্যারান্টার হয়েছেন, অনেকে নিজেরা ঋণ নিয়েছিলেন। সেটা তাদেরকে (মনোনয়ন) দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমারটা পাইনি। আমি চেষ্টা করছি।'
আপনি স্বীকার করেছিলেন আপনি ঋণ খেলাপি—গণমাধ্যমকর্মীদের এমন বক্তব্যে জাহাঙ্গীর বলেন, 'আমি ঋণ খেলাপি না, আমি আমার সম্পত্তি দিয়ে জামিনদার হয়েছি গার্মেন্টস এবং ওয়ার্কার বাঁচানোর জন্য। আমি নিজে কোনো ঋণ নেইনি। ব্যাংক থেকে নিজে কোনো ঋণ গ্রহণ করিনি। ওই কোম্পানির আমি শেয়ারহোল্ডার না। আমি নিঃশর্তভাবে আমার সম্পত্তি দিয়ে গার্মেন্টস বাঁচিয়েছি, লাখ লাখ শ্রমিককে সাপোর্ট দিয়েছি।'
রিট খারিজ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার রিটের শুনানি শেষে ফারাহ মাহবুব ও মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন।
গত ২৭ এপ্রিল জাহাঙ্গীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিজের ও তার মা জায়েদা খাতুনের নামে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জাহাঙ্গীরকে ঋণখেলাপি উল্লেখ করে গত ৩০ এপ্রিল গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। তবে জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
পরে নিজের মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জাহাঙ্গীর আপিল করলে সেটিও খারিজ হয়ে যায়।
প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল রোববার হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর।
Comments