সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান ৬ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার

সাংবাদিক এবং স্বাধীনভাবে সরকারের নীতি ও কর্মকাণ্ডের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণে তারা উদ্বিগ্ন।

আন্তর্জাতিক ৬টি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথম ৩ মাসে বাংলাদেশে ৫৬ জন সাংবাদিক সরকার ও সরকার সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তারা জানায়, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) অধীনে গ্রেপ্তারের ঝুঁকিতে আছেন এবং সরকার সমর্থকদের হয়রানি, নজরদারি ও শারীরিক আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন।

এই ৬ মানবাধিকার সংস্থা হচ্ছে—অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সিভিকাস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, কমিটি টু প্রজেক্ট জার্নালিস্ট, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস এবং রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার।

তারা বলেছে, সাংবাদিক এবং স্বাধীনভাবে সরকারের নীতি ও কর্মকাণ্ডের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণে তারা উদ্বিগ্ন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে উন্মুক্ত রাজনৈতিক বিতর্কের সম্ভাবনাকে দুর্বল করছে।

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে আইনটি প্রণয়ন হওয়ার পর থেকে ২০২৩ সালের মে মাসের শুরুর দিক পর্যন্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩৩৯টি মামলা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিউজরুমগুলোকে আরও আত্মনিয়ন্ত্রণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটগুলো থেকে প্রতিবেদন সরিয়ে দেওয়া হবে। কেননা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বা ডেটা অপসারণ ও ব্লক করার অনুমতি রয়েছে সরকারের।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল বা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত অবিলম্বে এর ব্যবহার স্থগিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এই ৬ সংস্থা।

তারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতার দ্রুত, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও কার্যকর তদন্ত এবং সন্দেহভাজন অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে সরকারের প্রতি আরও দাবি জানানো হয়, 'কেবল মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগের কারণে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করুন। সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ করুন এবং মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষা করুন। মানুষ নিষেধাজ্ঞার ভয় ছাড়াই অফলাইন ও অনলাইনে সমালোচনা ও তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে—এমন পরিবেশ নিশ্চিত করুন।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago