আইসিইউর এসি নষ্ট

ঈদের পর এখনো চালু হয়নি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সার্জারি

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের প্রধান প্রবেশ পথ। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের প্রধান প্রবেশ পথ। ছবি: সংগৃহীত

নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) এসি নষ্ট থাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের (এনআইসিভিডি) কার্ডিয়াক সার্জারি কমপক্ষে ১০ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন আছে এরকম রোগীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা বেশিরভাগই নিম্ন-আয়ের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং এসির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) মাঝে সমন্বয়ের অভাব চলমান অচলাবস্থাকে দীর্ঘায়িত করছে বলে একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

তারা জানান, কার্ডিওভাসকুলার রোগের জন্য দেশের প্রধান হাসপাতাল এনআইসিভিডিতে প্রতিদিন গড়ে ৫টি কার্ডিয়াক সার্জারি করা হয়।

হাসপাতালটিতে ৮০০ শয্যার বিপরীতে প্রায় ১ হাজার ২০০ রোগী ভর্তি আছে। এখানে ২ আইসিইউতে মোট ৪৮টি শয্যা রয়েছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সার্জারির পর রোগীদের অন্তত ৩ থেকে ৭ দিনের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।

হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনজুরুল আলম গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এসি বিকল হয়ে যাওয়ায় আইসিইউতে তাপমাত্রার ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ১৮ এপ্রিল থেকে আমাদের সার্জারি বন্ধ রাখতে হয়েছে।'

আইসিইউ কর্মীরা জানান, তারা মাসের শুরুতে এসি সিস্টেমে সমস্যা চিহ্নিত করেন এবং তা হাসপাতালের পরিচালককে অবহিত করেন। পরিচালক তখন পিডব্লিউডিকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান।

'জবাবে পিডব্লিউডি আমাদের আইসিইউ খালি করতে বলেছে। আমরা ঈদের ছুটি মাথায় রেখে আইসিইউ খালি করার কাজ শেষ করেছি। তবে ছুটি শেষ হওয়ার পর পিডব্লিউডি এখনো এসি সিস্টেম মেরামতে কাজ শুরু করতে পারেনি', যোগ করেন অধ্যাপক মনজুরুল।

তিনি বলেন, 'আমরা সাধারণত ঈদের ছুটির ৩ থেকে ৪ দিন আইসিইউকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করি। এর সঙ্গে আইসিইউ খালি করা ও সার্জারি স্থগিত রাখা, উভয়ই জড়িত। আমরা চেয়েছিলাম এ সময়ের মাঝেই মেরামতের কাজ শেষ হোক, কিন্তু এখন তা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।'

এনআইসিভিডি'র পরিচালক ড. মীর জামাল উদ্দিন সার্জারি স্থগিতের পেছনে ৩টি কারণ তুলে ধরেন- এসি সিস্টেম বিকল হয়ে পড়া, ঈদের ছুটিতে নিয়মিত জীবাণুমুক্তকরণের কাজ এবং পিডব্লিউডির বাড়তি সময় চাওয়া।

পিডব্লিউডির নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরণ মিস্ত্রী গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের দল শনিবার সিস্টেমটি মেরামতের কাজ শুরু করবে এবং এটি ৩-৪ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।'

বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ঈদের ছুটিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।'

এনআইসিভিডির সার্জারি ইউনিটে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ শয্যা খালি। এদিকে বেশ কয়েকজন রোগী জানিয়েছেন, তারা তাদের সার্জারির জন্য অপেক্ষা করছেন।

৩৫ বছর বয়সী কার্ডিয়াক রোগী আসাদুল ইসলাম বলেন, 'আমার একটি ভালভ ইমপ্ল্যান্ট দরকার। কিন্তু আমি জানি না এটি কখন করা হবে।'

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

1h ago