যারা সেবা দিতে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের হাসপাতালে রাখব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রমেক হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, হাসপাতাল মানুষের জন্য, আমরা সেই সেবা নিশ্চিত করতে চাই। যারা সেবা দিতে পারবে না বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের আমরা হাসপাতালে রাখব না।

আজ বৃহস্পতিবার ১০০ শয্যা রংপুর শিশু হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

'রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিভাগের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল' উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'এখানে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। তারপরও কেন সেবা পাবে না মানুষ। ভালো সেবা দিতে ১০০ শয্যা রংপুর শিশু হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে। এখানে প্রায় ৮০ বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় উন্নতমানের যন্ত্রপাতি রয়েছে। প্রয়োজনে আরও যন্ত্রপাতি ও জনবল নিয়োগ করা হবে।'

মন্ত্রী আরও বলেন, 'বেশ কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ভালো সেবা ভালো পাচ্ছেন, ওষুধ পাচ্ছেন। আবার কিছু রোগী অভিযোগও করেছেন। তারা নাকি ওষুধ পাচ্ছেন না, খাবারও ভালোভাবে পাচ্ছেন না। আমরা বিষয়টি দেখব এবং ব্যবস্থা নেবো। হয়ত আমরা আসার খবরে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কিছুটা হয়েছে। তবে এটি আরও বেশি প্রয়োজন ছিল।'

তিনি বলেন, 'রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অনেক পুরোনো হাসপাতাল। এখানকার অনেক কিছু মেরামতের প্রয়োজন। তবে এখানকার পরিবেশ আরও সুসজ্জিত ও পরিচ্ছন্ন হওয়া প্রয়োজন। আমরা এখন আশা করি আগামীতে চিকিৎসা সেবায় অনেক ভালো হবে। সরকার স্বাস্থ্যখাতে অনেক বরাদ্দ দিয়েছে। অনেক যন্ত্রপাতি ও লোকবল দিয়েছি। আমরা স্বাস্থ্যসেবায় আরও ভালো কিছু করতে চাই। যে সেবা এখন আমরা পাচ্ছি তাতে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ বি এম আবু হানিফ, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল রায়, জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর সাবেক সদর হাসপাতালের প্রায় দুই একর জমিতে শিশু হাসপাতালের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। মূল হাসপাতাল ভবনের তিন তলা পর্যন্ত প্রতি তলার আয়তন ২০ হাজার ৮৮২ দশমিক ৯৭ বর্গফুট। 

 

Comments

The Daily Star  | English
US dollar price rises

Explanations sought from 13 banks for higher USD rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

37m ago